-->

রাত ১১টার পর ঢাকায় চায়ের দোকান বন্ধ করে দিতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাত ১১টার পর ঢাকায় চায়ের দোকান বন্ধ করে দিতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় এসব অস্থায়ী দোকানে অপরাধীরা সারা রাত আড্ডা দেয়, আর সুযোগ পেলেই ছিনতাই করে। রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ করে দিতে হবে।’

 

রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে মার্চ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় গতকাল রোববার ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন। সভায় সমাজে অপরাধের কারণ অনুসন্ধান করে সেগুলো প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করার আহ্বান জানান কমিশনার।

 

ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহার সঞ্চালনায় মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ; যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

 

কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘রাস্তায় পুলিশের স্টিকার লাগানো কোনো গাড়ি দেখলে ডিউটিরত পুলিশ অবশ্যই যাচাই করবেন যে, সেটা আসলেই কোন পুলিশ অফিসারের গাড়ি কিনা। কারণ গাড়িতে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে বা ডিএমপির লোগো লাগিয়ে সন্ত্রাসীদের চলাফেরার তথ্য পাওয়া গেছে। যদি যাচাই করে দেখা যায় সেটা পুলিশের গাড়ি নয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ডিএমপির ক্রাইম ও ট্রাফিক বিভাগ এই বিষয়টি নজর রাখবেন।’

 

অন্যান্য রমজানের চেয়ে এবার রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল বলেও দাবি করেন কমিশনার। তিনি জানান, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে ক্রাইম বিভাগও আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করেছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ট্রাফিক বিভাগের একার কাজ, এমনটা ভাবা যাবে না। ক্রাইম বিভাগের যাদের সামনে রাস্তায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা যাবে তিনি সেখানে কাজ করবেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কোনো সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠী যেন কোন প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আতঙ্ক সৃষ্টিকারী কোনো কাজ যেন ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় না হয় সেদিকেও সবার সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এই ধরনের অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর থাকতে হবে।’

 

অনুষ্ঠানের শুরুতে ঢাকা মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে মার্চ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version