-->
শিরোনাম

চা-শ্রমিকদের ভোটে হয় ভাগ্য নির্ধারণ

ইউপি নির্বাচন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
চা-শ্রমিকদের ভোটে হয় ভাগ্য নির্ধারণ
কমলগঞ্জে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন চা শ্রমিকরা

কষ্টের শেষ নেই চা-শ্রমিকদের। স্বল্প মজুরি ও বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে চা-শ্রমিকদের কষ্টের কথা হরহামেশাই দেখা যায় সংবাদমাধ্যমগুলোতে। তবে এই চা-শ্রমিকদের ভোটেই ভাগ্য নির্ধারণ হয় জনপ্রতিনিধিদের। বলছি মৌলভীবাজারের কমলনগর ও শ্রীমঙ্গলের চা-শ্রমিকদের কথা।

জেলার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলায় চা-বাগান বেশি, সে হিসেবে চা-জনগোষ্ঠীর ভোটার বেশি। দুটি উপজেলায় লক্ষাধিক চা-শ্রমিক ভোটার রয়েছেন। তাদের ভোট নির্বাচনের ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে।জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় ২২টি চা-বাগানের প্রায় ৪০ হাজার চা-শ্রমিক ভোটার রয়েছেন। অন্যদিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৪২টি চা-বাগানে ৬০ হাজারের মতো রয়েছেন চা-শ্রমিক ভোটার। চা-শ্রমিকদের এই ভোটে ভাগ্য নির্ধারণ হয় প্রার্থীদের।

গতকাল বুধবার পঞ্চম ধাপে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন (ইউপি) অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকেই দলবেঁধে চা-শ্রমিক ভোটাররা উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দিয়েছেন। ভোট উপলক্ষে বাগানে কাজ বন্ধ, কাজে ফেরার নেই তাড়া, তাই ভোট দেওয়ার জন্য রীতিমতো উৎসব করছেন চা-শ্রমিক ভোটাররা।

শীত উপেক্ষা করে, গৃহস্থালির কাজ সম্পন্ন করে দলবদ্ধভাবে এসে চা-শ্রমিকরা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই স্বতঃস্ফূর্তভাবে তারা ভোট দিচ্ছেন বলে জানান তারা।চা-শ্রমিকদের সাথে আলাপকালে চা-শ্রমিক আরতি কানু জানান, সকালে এসে ভোট দিয়ে গেছেন। তারা একসঙ্গে ৪০ জন গিয়েছিলেন। একসঙ্গে ভোট দিতে আসা ও যাওয়ার সময় খুবই আনন্দ হয়েছে।চা-শ্রমিক ওসখা উরাং বলেন, ‘যে শীত পড়ছে, এরপরও আইলাম ভোট দিতে। এটা আমাদের কর্তব্য।’

তরুণ ভোটার অঞ্জনা কানু বলেন, ‘আজকে যেন উৎসবে আসলাম। বাগানে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে ক্লান্তিতে ছিলাম, সবাই মিলে ভোট দিতে পেরে আনন্দ লাগছে। প্রথম ভোট দিয়েছি তাই আরো ভালো লাগছে।’ভোটার মোহন ওরাং বলেন, ‘আমরা ভোট দেই, আজও দিলাম কিন্তু আমাদের কথা কম লোকই ভাবেন। আশা করি যারা নির্বাচিত হবেন, আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করবেন।’

মন্তব্য

Beta version