চলতি শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশার কারণে প্রায়ই ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে কয়েক ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে।
তখন দৌলতদিয়া ঘাটের চারপাশ ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে চার কিলোমিটার এবং ঘাট থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে আরো তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছিল পণ্যবাহী ট্রাকের জট। নদী পারাপারের অপেক্ষায় ছিল এসব পণ্যবাহী ট্রাক। দীর্ঘসময় পারাপারের অপেক্ষায় থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টার সময় কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। তখন থেকেই ঘাট এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকা পড়ে ছোট বড় মিলে কয়েকশ যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও বাস যাত্রীরা।
ঢাকাগামী সোহাগ পরিবহনের যাত্রী আয়নাল হোসেন বলেন, ‘রাত ৪টায় ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে বাসে বসে আছি। রাতে ঘুমাতে পারি নাই। প্রচণ্ড শীত পড়ে ছিল। একটা চাদরে কী শীত যায়?’
আরেক যাত্রী ইকরাম শেখ বলেন, ‘ছোট শিশুকে নিয়ে ঢাকায় ফিরছি। সকালে অফিসে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কুয়াশার কারণে ফেরি বন্ধ থাকায় এখনো ঘাটে বসে আছি। বাচ্চাকে নিয়ে সারারাত খুবই কষ্ট হয়েছে।’
ট্রাকচালক রায়হান জানান, গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে গোয়ালন্দ মোড়ে আটকে আছি। দুইদিনেও ফেরিতে উঠতে পারি নাই। ঘাটের যা পরিস্থিতি আগামী চারদিনেও ফেরিতে উঠতে পারব বলে মনে হয় না। এখানে নেই কোনো খাবারের হোটেল, ঘুমানোর জায়গা। তার ওপর আবার তীব্র ঠাণ্ডা।’
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টার সময় কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যায়। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে কুয়াশা কেটে গেলে সকাল ৮টার সময় পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।
ঘন কুয়াশার কারণে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার, শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি রুটে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা থেকে পাঁচ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। সকাল ১০টার দিকে এসব রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক ফয়সাল আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য