-->

হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়ি ফিরলেন সৌদি প্রবাসী

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়ি ফিরলেন সৌদি প্রবাসী

প্রবাসীরা সাধারণত দেশে ফিরে বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে করে বাড়িতে আসেন। সৌদি প্রবাসী সুজন ইব্রাহিম ঘটালেন তার ব্যতিক্রম। তিনি এলেন হেলিকপ্টারে চড়ে। আত্মীয়স্বজন এবং এলাকাবাসীও বিষয়টি উপভোগ করেছেন আনন্দের সঙ্গে।

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে সুজন ইব্রাহিম সপরিবারে থাকেন সৌদি আরবে। সেখানে সুজন একজন সফল ব্যবসায়ী। স্ত্রী মোছা. সাবেকুন্নাহারের বাড়িও একই উপজেলার নানশ্রী গ্রামে।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ছিল সুজন ইব্রাহিম ও সাবেকুন্নাহারের পঞ্চম বিবাহবার্ষিকী। স্ত্রীকে আগেই বলে রেখেছিলেন, এ দিনটিতে তার জন্য রয়েছে চমক। সেই চমক দেখাতে বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়ি ফিরলেন সুজন।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তাদের বহন করা হেলিকপ্টারটি করিমগঞ্জ সদরের হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। তার আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী সুজনের এ আয়োজনের কথা আগেই জানতেন। তাই সকাল থেকে হেলিপ্যাডে ছিল হাজারো গ্রামবাসীর আগমন।

এ সময় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাদের ফুলেল সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে গাড়িতে চড়ে গ্রামের বাড়ি ফেরেন তারা। এসময় তাদের গাড়ির সামনে-পিছে শতাধিক মোটরসাইকেলের শোভাযাত্রা। এ দৃশ্য দেখতে রাস্তার দুপাশে শত শত মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

সুজন ইব্রাহিম বলেন, ‘অনেক দিন পর দেশে আসা। আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের জন্য বাড়ি আসা। তবে এবারের বিবাহবার্ষিকী দিনটি উদযাপনের বিষয়টিও মনে ছিল আগে থেকেই। তাই একটু অন্যভাবে বাড়িতে ফিরেছি।

‘স্ত্রীকে বিবাহবার্ষিকীতে চমকে দেব সে কথাটি আগেই বলে রেখেছিলাম। তাই হেলিকপ্টারে করে বাড়ি ফিরেছি। আমাদের আগমন উপলক্ষে আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসীকে দাওয়াত করা হয়েছে। সবাই মিলেমিশে একটু আনন্দ করব। এ ছাড়া অন্য কিছু না।’

সুজন ইব্রাহিমের বাবা ফজলুর রহমান বলেন, ‘ছেলে, বৌমা ও নাতি-নাতনির আগমনে আমরাসহ এলাকাবাসীও খুশি হয়েছে। গ্রামবাসীকে দুপুরে খাওয়ানোরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

মন্তব্য

Beta version