মাদারীপুরের রাজৈরে ২০ বছর আগের আলোচিত রানী বৈদ্য হত্যা মামলায় পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান সিং বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ভোরের আকাশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, জেলার রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম এলাকার গুরুপদ বৈদ্যের স্ত্রী রাধা রানী বৈদ্যের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে তরণী বৈদ্যের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ২০০২ সালের ১৪ অক্টোবর রাধা রানী বৈদ্য তার দুই ছেলেকে নিয়ে আমগ্রাম বাজারে দুর্গাপূজার বিভিন্ন মণ্ডপে প্রতিমা দেখে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে তরণী বৈদ্য ও তাদের সহযোগীরা রাধা রানী বৈদ্যকে অপহরণ করে নিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখে।
ওই ঘটনায় রাধা রানী বৈদ্য নিখোঁজ থাকায় তার ছেলে বিষ্ণুপদ বৈদ্য বাদী হয়ে রাজৈর থানায় ১৫ অক্টোবর একটি অপহরণ মামলা করেন। ঘটনার ১১ দিন পর রাজৈর উপজেলার সিরাজকাঠী গ্রামের পাখুল্লা বিলে রাধা রানী বৈদ্যের মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষ্ণুপদ বৈদ্যের করা অপহরণ মামলাটি পরে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজৈর থানার এসআই মোখলেসুর রহমান ২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল অভিযোগপত্র দেন।
মামলায় তরুণী বৈদ্য (৫০), অশোক বৈদ্য (৪৮), নরেন বৈরাগী (৪৭), কালু বিশ্বাস (৪৫), বিজয় বেপারী (৪৫) ও গৌরাঙ্গ বৈদ্যসহ ছয় জনকে আসামি করা হয়।
আসামির মধ্যে গৌরাঙ্গ বৈদ্য মামলা চলাকালে মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি বিজয় বেপারী পলাতক ছিলেন। বাকিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।’
নিহতের ছেলে গৌরাঙ্গ বৈদ্য সন্তোষ প্রকাশ করে রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।
মন্তব্য