-->

শাবি শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙালেন জাফর ইকবাল

সিলেট ব্যুরো
শাবি শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙালেন জাফর ইকবাল

অবশেষে শিক্ষাবিদ ড. জাফর ইকবালের মধ্যস্থতায় অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ২০মিনিটে তারা পানি খেয়ে অনশন ভাঙেন।

এর আগে দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বুধবার ভোররাতে শাবিতে আসেন। ৪টা ১০ মিনিট থেকে ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

গত ১৩ জানুয়ারি সিরাজুন্নেছা ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক জাফরিন লিজার পদত্যাগ দাবিতে শুরু হয় ছাত্রী আন্দোলন। ওই দাবিতে ১৬ জানুয়ারি আইআইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখলে সন্ধ্যায় ঘটে তুলকালাম কাণ্ড।

সে সময় উপাচার্যকে উদ্ধারকে কেন্দ্র করে পুলিশের লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনায় আহত হন অর্ধশত শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা ও পুলিশের কয়েকজন সদস্যও আহত হন। এরপর থেকেই শুরু হয় উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন। গ্রহণ করা হয় গণস্বাক্ষর। দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতি বরাবর খোলা চিঠি।

পরে গত ১৯ জানুয়ারি বুধবার থেকে শুরু হয় অনশন।

অনশনের প্রথম দিন থেকে দফায় দফায় শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরই মাঝে শিক্ষকদের একাংশ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেন। সোমবার আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে আলোচনার চেষ্টা শুরু করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।

মঙ্গলবার রাতে পরদিন বুধবার ১২টার মধ্যে উপাচার্যকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা। অন্যথায় আমরণ অনশনের ঘোষণা দেয় তারা। উপাচার্য পদত্যাগ না করায় বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ২টা ৫০ মিনিটে আমরণ অনশন শুরু করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আলোচনার বার্তা নিয়ে আসেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।

ওইদিন বিকেল ৩টায় মুঠোফোনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আলাপ করিয়ে দেন নাদেল। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের আলোচনার জন্য প্রতিনিধি দল ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তাব দেন। শিক্ষামন্ত্রীর প্রস্তাবে প্রথমে সম্মত হলেও পরে ঢাকায় না এসে অনলাইনে আলোচনার আহ্বান জানান।পরে শিক্ষার্থীরা ঢাকায় না আসলেও শুক্রবার রাতে শাবিপ্রবি শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।

শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষকদের বৈঠকের পর ওইদিন রাত ১টায় অনলাইনে শিক্ষার্থীদের আলোচনা হয়। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের অনশন ভেঙে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের প্রস্তাব দিলে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অনড় থাকেন। এর প্রেক্ষিতে রোববার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে ফের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার কথা থাকলেও তা আর হয়নি। এর মধ্যেই শনিবার রাতে গণঅনশনের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। এতে আরও পাঁচ শিক্ষার্থী অংশ নেন।

মন্তব্য

Beta version