-->
শিরোনাম

বাস চালিয়ে রাস্তায় পিষে হত্যা, সেই চালক গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম ব্যুরো
বাস চালিয়ে রাস্তায় পিষে হত্যা, সেই চালক গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার মো. আলমগীর হোসেন।

খাগড়াছড়ির চাঞ্চল্যকর আউয়ুব আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাসচালক মো. আলমগীর হোসেনকে বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭।

৩৫ বছর বয়সী আলমগীর খাগড়াছড়ির দিঘীনালা থানার উত্তর মিলনপুর এলাকার ইমান আলীর ছেলে। মামলায় তার বিরুদ্ধে গত ৫ জানুয়ারি জিপচালক আইয়ুব আলীকে বাস চালিয়ে রাস্তায় পিষে হত্যার অভিযোগ করা হয়।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, খাগড়াছড়ির চাঞ্চল্যকর আইয়ুবের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে কঠোর নজরদারির শুরু করা হয়। প্রযুক্তির সাহায্যে গতকাল শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানার ভাসানচর ইউনিয়নের মাঝগ্রাম থেকে এক নম্বর আসামি বাসচালক আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনা স্বীকার করেছে। আলমগীরকে দিঘীনালা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

র‌্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাগড়াছড়ি সদর থানার শালবন গরুগাড়ী টিলা এলাকার প্রয়াত জুলফু মিয়র ছেলে ২৪ বছর বয়সী আইয়ুব আলী একজন জিপচালক। তিনি তার জিপে ঢালাই কাজের শ্রমিক ও ঢালাই সরঞ্জাম নিয়ে নিজ এলাকা শালবন থেকে দীঘিনালা রওনা হন গত ৫ জানুয়ারি সকাল পৌনে ৭টার দিকে। জিপটি খাগড়াছড়ি সদর থানাধীন মাইল এলাকার দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কে পৌঁছ আলমগীর বিপরীত দিক থেকে বাস নিয়ে এসে জিপটিকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আইয়ুব আলী কোনোমতে পাহাড়ে জিপ ঠেকিয়ে যাত্রীসহ প্রাণে রক্ষা পান।

র‌্যাব কর্মকর্তারা আরো জানান, এরপরও বাস চালক ও তার সুপারভাইজার মাসুম মিয়া (৩০) ইচ্ছা করে বাসটি পেছনে নিয়ে যান এবং আবার জিপগাড়ির কাছে গিয়ে থামান। এরপর মাসুম বাসের জানালা খুলে আইয়ুবকে বের করে তার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। আইয়ুব এমন হামলার কারণ জানতে চাইলে বাসচালক আলমগীর তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘বেশি কথা বললে এখানেই তোকে রাস্তায় পিষে মারব।’ এর কিছু সময় পরই আইয়ুবের ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে তাকে রাস্তায় পিষে হত্যা করেন বাসচালক আলমগীর।

এ ঘটনায় আইয়ুবের ভাই নুর নবী ওরফে জনি বাদি হয়ে খাগড়াছড়ি থানায় বাসচালক আলমগীর, সুপারভাইজার মাসুম ও অজ্ঞাতপরিচয় হেলপারকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

 

মন্তব্য

Beta version