-->
শিরোনাম

ট্রেনিং নিচ্ছি, খেলা হবে: শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
ট্রেনিং নিচ্ছি, খেলা হবে: শামীম ওসমান
সদর উপজেলার ফতুল্লার নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে জরুরি কর্মিসভায় বক্তব্য রাখছেন এ কে এম শামীম ওসমান। ছবি- ভোরের আকাশ

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘আমাদের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। কিছু পাই আর না পাই আমাদের লড়াইটা করতে হবে। কারণ একটা কঠিন যড়যন্ত্র আসছে, যা আন্তর্জাতিক ও লোকাল পলিটিকস। হয়তোবা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একটা আঘাত করার চেষ্টা করবে, কিন্তু জিতবে না। কারণ আমি বিশ্বাস করি, আমার নেত্রীর ওপর আল্লাহর রহমত আছে।’

শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ফতুল্লার নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে জরুরি কর্মিসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি চাইছিলাম, এমপি থাকা অবস্থায় রাজনীতি ছেড়ে চলে যেতে। কিন্তু সামনে একটা আঘাত আসছে। তাই এটা মোকাবিলা করে যেতে হবে। যারা খেলতে চান, আপনারা জেনে রাখুন, আমরা ট্রেনিং নিচ্ছি।

‘যারা খেলাটা খেলতে চান আসেন খেলি। আমরা এবার খেলার জবাবটা কিন্তু সেইভাবে দেব। কারণ আমরা সবভাবে খেলতে জানি। খেলা হবে এবং আমরা জিতব ইনশাআল্লাহ।’

তিনি বলেন, যারা খেলতে চাইবেন নারায়ণগঞ্জে তাদের ঘরে ঢুকে ঢুকে আঘাত করা হবে। ঘরে ঢুকে ঢুকে আঘাত করব যদি নেত্রীর দিকে কেউ নজর দেন।

শামীম ওসমান বলেন, ‘একটা রক্তক্ষরণ হয়ে গেছে, তবুও পাঁচ বছর আমি কারো বিরুদ্ধে কথা বলিনি। আঘাত করলেও কথা বলি না। ভেবেছিলাম, দেখি আমি আমার নেত্রীর মতো নীলকণ্ঠী হতে পারি কিনা। আপনার বাবা আমাদের পরিবারকে নেত্রীর কাছে তুলে দিয়ে গেছেন। আমরা তাকে মানি।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের স্থানীয় অঙ্গসংগঠনের যেসব কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে তাদের উদ্দেশে শামীম ওসমান বলেন, ‘অনেকে পদ নিতে পারেন। কিন্তু ত্যাগ নিতে পারেন না। যারা আঘাত পেয়েছেন তারা আমার মতো হওয়ার চেষ্টা করেন। যারা কষ্ট পেয়েছেন তাদের আমরা করতালি দিয়ে সম্মান জানাচ্ছি। কর্মী থাকেন সম্মান অনেক বেশি। পদ-পদবি ছাড়া থাকেন ভালো থাকবেন।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আসল নেতাকর্মীদের বলতে চাই- আপনাদের মাথার ওপর শেখ হাসিনার হাত আছে। আমরা নেতা একজনকেই মানি, তিনি শেখ হাসিনা। বাকিদের গোনায় ধরি না।’

নেতাকর্মীদের প্রত্যেক এলাকায় সভা করার আহ্বান জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘আপনারা আমাদের প্রতিটি এলাকায় মিটিং করার ব্যবস্থা করেন, কর্মী তালিকা করেন। যাতে করে রাত ১টার সময় ডাক দিলেও তারা রাস্তায় নামতে পারেন।’

স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে এক সারিতে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আসেন সব কিছু ভুলে, সব কিছু মন থেকে ঝেড়ে একসঙ্গে কাজ করি। আমাদের একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। কারণ সামনে আঘাত আসছে।’

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ আবু হাসনাত শহীদ বাদল, মহানগরের সহসভাপতি চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদল, বন্দরের সভাপতি মজিুবুর রহমান, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিনসহ স্থানীয় নেতামর্কীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

Beta version