চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবিতে পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সদরের বাগাদী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মুন্সিবাড়ি এলাকার ডাকাতিয়া নদীতে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন মো. আওয়াল (৫০), মো. মোবারক (৪৫), মো. নাসির (৩২), আল-আমিন (৩৫) ও নজরুল (৩৫)। নিহত তিনজনের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর ও দুজনের বাড়ি তিতাস এলাকায়। তারা সবাই ইট ভাটায় কাজ করতেন বলে জানা গেছে। তাদের মরদেহ চাঁদপুর সরকারি হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
ভোরের আকাশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুজাহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, সদরের রামপুর ইটভাটা এলাকা হতে ১১ মাটি কাটা শ্রমিক ট্রলারযোগে বাগাদীর সাহেববাজার মোমিনপুর এলাকায় যাচ্ছিল। পথিমধ্যে হাজীগঞ্জগামী একটি বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারে থাকা ১১ শ্রমিক পানিতে পড়ে যান। তাদের মধ্যে সাতজন সাঁতরে তীরে ওঠেন। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা চারজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় একজনের।
চাঁদপুর কোস্টগার্ড স্টেশনের মিডিয়া কর্মকর্তা মেহেদী বলেন, ‘ডুবে যাওয়ায় ট্রলারটি খোঁজার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনা ঘটিয়েছে ইকবাল হোসেন-১ নামের বাল্কহেডটি। যা চালাচ্ছিলেন এর মালিক। আমরা মালিকসহ বাল্কহেডটি আটক করেছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা সোহাঈদ খান জিয়া জানান, চাঁদপুর থেকে বালুভর্তি বাল্কহেড এমবি ইকবাল হোসেন- ১ দ্রুতগতিতে এসে মাটির ট্রলারের ওপর উঠিয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ট্রলারটি ডুবে যায়।
ওই দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ইটভাটার শ্রমিকেরা জানান, তাদের বহনকারী ট্রলারটি নদীর এক পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে বালুবাহী বাল্কহেডটি তাদের ট্রলারের ওপর উঠিয়ে দেয়। তবে এ সময় অনেক কুয়াশা ছিল।
বিআইডব্লিটিএ চাঁদপুর নদীবন্দর কর্মকর্তা কায়সারুল ইসলাম ভোরের আকাশকে বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, ঘনকুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নৌ ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়।’
মন্তব্য