-->

সিনহা হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড

কক্সবাজার প্রতিনিধি
সিনহা হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড
সিনহা (বায়ে), লিয়াকত, ওসি প্রদীপ

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া মামলার আসামি নন্দ দুলালসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তনন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী (১নং আসামি) ও টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ (২নং আসামি)।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক নন্দদুলাল রক্ষিত (৩নং আসামি), ওসি প্রদীপের দেহরক্ষী বরখাস্ত কনস্টেবল রুবেল শর্মা (৫ নং আসামি), বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব (৪ নং আসামি), টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন (৮ নং আসামি), মো. নেজামুদ্দিন (৭ নং আসামি) এবং আয়াজ উদ্দিনের (৬ নং আসামি)।

এ ছাড়া কনস্টেবল সাগর দেবকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড, টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড, মো. নেজামুদ্দিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং আয়াজ উদ্দিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।

মন্তব্য

Beta version