মেজর (অব.) সিনহা হত্যামামলার রায়ের মধ্য দিয়ে প্রায় দেড় বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বেকসুর খালাস পাওয়া সাত পুলিশ সদস্য। সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদালত থেকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছালে তাদের মুক্ত করে দেওয়া হয়।
মুক্তিপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন এপিবিএনের বরখাস্ত এসআই মো. শাহজাহান, বরখাস্ত এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল মো. রাজীব, কনস্টেবল মো. আবদুল্লাহ, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন ও কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বরখাস্ত এএসআই লিটন মিয়ার স্ত্রী হ্যাপী আকতার বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আইনি লড়াই শেষে স্বামীকে ফিরে পেয়ে অনেক খুশি লাগছে। ন্যায়বিচার পাওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।’
কক্সবাজারের জেল সুপার নেছার আলম জানান, রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাত পুলিশ সদস্যকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। সোমবার রাতে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরে যান তারা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।
বহুল আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয় সোমবার। রায়ে টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলির ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া মামলার আসামি নন্দ দুলালসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
মন্তব্য