-->
শিরোনাম

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ হাইকোর্টে পাঠানো হবে সাত দিনে

কক্সবাজার প্রতিনিধি
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ হাইকোর্টে পাঠানো হবে সাত দিনে
বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও এসআই লিয়াকত

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও ইন্সপেক্টর লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ রায় পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানো হবে। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সিনহা হত্যা মামলার বাদীপক্ষের সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে সিনহা হত্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পাওয়া সাত পুলিশ সদস্য কারামুক্ত করা হয়েছে। সোমবার রাতেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদালত থেকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছালে তাদের মুক্ত করে দেওয়া হয়। কক্সবাজারের জেল সুপার নেছার আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ হাইকোর্টে পাঠানোর বিষয়ে আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন,  ‘কোনো ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হলে, আদালতের নিয়ম অনুযায়ী মামলার রায় হওয়ার সাত দিনের মধ্যে সমস্ত নথি, কেস ডায়েরি, সাক্ষ্য-প্রমাণসহ কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এসময় লালসালু কাপড়ে মুড়িয়ে কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়ে থাকে। নিয়মানুযায়ী প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডাদেশের কপিও সেভাবে হাইকোর্টে যাবে।’

সিনিয়র এই আইনজীবী আরো বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির আদেশ হাইকোর্টকে জানাতে হয়। জানানোর আগ পর্যন্ত আদেশ কার্যকর হবে না।’এছাড়া আসামিপক্ষও আপিল করতে পারে। কারণ মামলার রায়ে সন্তুষ্ট না হলে সবার উচ্চ আদালতে যাওয়ার এখতিয়ার রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।

বহুল আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয় সোমবার। রায়ে টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলির ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া মামলার আসামি নন্দ দুলালসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।

মন্তব্য

Beta version