-->

কনডেম সেলেও স্বাভাবিক প্রদীপ-লিয়াকত

কক্সবাজার প্রতিনিধি
কনডেম সেলেও স্বাভাবিক প্রদীপ-লিয়াকত
সোমবার রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে কারাগারে ফেরত আনা হচ্ছে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও বরখাস্ত এসআই লিয়াকতকে। ( ফাইল ছবি)

কক্সবাজার জেলা কারাগারের কনডেম সেলে স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছেন মেজর সিনহা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী। 

কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার নেছার আলম বলেন, ‘প্রদীপ ও লিয়াকত স্বাভাবিক আচরণ করছেন। তবে তারা চুপচাপ রয়েছেন। তাদের প্রয়োজন মাফিক খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তারা স্বাভাবিকভাবেই তা গ্রহণ করছেন।

এছাড়া একই মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিন পুলিশ সদস্য বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের বরখাস্ত এসআই নন্দদুল্লাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাগর দেব, কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে আলাদা রাখা হয়েছে।

পাশাপাশি সাধারণ কয়েদিদের সাথে রাখা হয়েছে টেকনাফের মারিশবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিনকে।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।

বহুল আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয় সোমবার। রায়ে টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলির ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া মামলার আসামি নন্দ দুলালসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।

মন্তব্য

Beta version