যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের বিশেষ নির্দেশে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন নিপুন বিশ্বাস। যথাসময়ে উপস্থিত হতে না পারলেও মানবিক দিক ও নিপুনের পারিবারিক অবস্থা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে উপাচার্যের ওপর অর্পিত ক্ষমতাবলে তাকে ভর্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির জরুরি সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
ডিনস কমিটির সভায় জানানো হয়, ‘পরিবহন সংক্রান্ত জটিলতার কারণে গত ৩১ জানুয়ারি ভর্তি জন্য নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে পারেননি নিপুন। নিপুনের মেধাক্রম ছিল ১৭ এবং রোল নম্বর ছিল ৭০২৬৯। ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা ছিল- ৩১ জানুয়ারি সকাল ১০-১১টার মধ্যে শিক্ষার্থীকে উপস্থিত থাকতে হবে। তবে নীলফামারী থেকে নিপুন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান ১২টা ৮ মিনিটে। যেহেতু নিপুন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পৌঁছাতে পারেননি তাই তার স্থানে মেধাক্রম অনুযায়ী বায়েজিদ মল্লিক নামে একজনকে ভর্তি করা হয়। তার মেধাক্রম ছিল ১৯, রোল নম্বর ছিল ৭০০৩০।
পরবর্তীতে এ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে জানানো হয়। মানবিক দিক বিবেচনা করে ওই বিভাগে একটি আসন বাড়িয়ে নিপুনকে ভর্তি করানোর জন্য ডিনস কমিটিকে নির্দেশ দেন উপাচার্য।
উপাচার্যের নির্দেশে নিপুনের জন্য একটি আসন বাড়িয়ে ভর্তি করার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির পরবর্তী সভায় অবহিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিপুন সমাজের একটি অনগ্রসর পরিবারের সদস্য। আমি এটা জানতে পেরে ডিনস কমিটির জরুরি সভায় তাকে ভর্তি করানোর ব্যাপারে নির্দেশ দেই। আশার কথা হচ্ছে, যবিপ্রবির স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হলেও আগামীকালই সে ভর্তি হতে পারবে। যবিপ্রবি প্রশাসন সব সময় শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। যবিপ্রবির শিক্ষার্থীসহ যারা এ ঘটনা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচরে আনতে সহায়তা করেছেন, তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
মন্তব্য