প্রতিবছরের মতো জ্ঞানের আলো ছড়াতে এবারও এসেছেন বিদ্যার দেবী সরস্বতী। জ্ঞান, বুদ্ধি, বিদ্যা, শিল্পকলা ও সংগীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠেয় একটি অন্যতম হিন্দু উৎসব। শিক্ষার্থীরা এ দিন বিশেষভাবে পূজা করেন দেবী সরস্বতীর।
দেবী সরস্বতীকে কেউ কেউ বীণাপাণি বা বাগদেবী হিসেবেও জানেন।
শাস্ত্র মতে, দেবী সরস্বতীর মন্ত্রের জপ করলে বহু গুণ ফলাফল লাভ করা যায়। এর ফলে জ্ঞান, বিদ্যা, বুদ্ধি, বাণীর আশীর্বাদ প্রদান করেন দেবী সরস্বতী।
সরস্বতী পূজার জন্য অভ্র-আবীর, আমের মুকূল, দোয়াত-কলম, পলাশ ফুল ও যবের শীষ এবং বাসন্তী রঙের গাঁদা ফুল অন্যতম।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে শুরু হয় মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথি। যা সরস্বতী বন্দনার জন্য প্রসিদ্ধ। সকাল থেকে কুড়িগ্রামের মন্দির, অস্থায়ী পূজামণ্ডপ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আর বাড়িতে বাড়িতে চলছে দেবী বীণাপানির আরাধনা।
করোনা মহামারীর জন্য বিশেষ নির্দেশনা থাকার কারণে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরগুলোতে তেমন ভিড় নেই। প্রত্যেকে মানছেন স্বাস্থ্যবিধি।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী দিবাকর বোস বলেন, ‘শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ, আমাদের কলেজে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকালে পূজা হয়েছে। এ জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
মোল্লাপাড়ার অস্থায়ী পূজামণ্ডপের সদস্য দীপ্ত সাহা বলেন, 'আমরা বন্ধুরা মিলে চাঁদা তুলে পূজা করছি। আমরা অনেক মজা করছি।'
কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় বাজার কালী মন্দিরের পুরোহিত শ্রী পুতুল গোস্বামী জানান, সনাতন শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে প্রতিবছর মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তিথিটি শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। এদিন দেবীর কাছে বিদ্যার অর্জনের প্রার্থনা করে ভক্তরা। পূজার সময় ভক্তরা প্রিয় দেবীর শ্রীচরণে অঞ্জলি প্রদান করে থাকেন। এছাড়া পুরোহিতের মন্ত্র পড়ার সাথে সাথে উপস্থিত ভক্তরাও সে মন্ত্র মনে মনে পাঠ করতে থাকেন এবং দেবীকে স্মরণ করেন।
মন্তব্য