-->
শিরোনাম
জেলেদের চাল আত্মসাৎ

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনকে কারাদণ্ড

নোয়াখালী প্রতিনিধি
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনকে কারাদণ্ড

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে জেলেদের চাল আত্মসাৎ করায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের ৮০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে ১২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

জাটকা আহরণকারী হতদরিদ্র জেলে ও হতদরিদ্র নারীদের ভিজিডি কর্মসূচির সরকারি চাল আত্মসাৎ এবং খাল ও বাজার অবৈধভাবে ইজারা দিয়ে অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাদের এই শাস্তি দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালীর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ আলম এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মেহেরাজ উদ্দিন, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. গোলাম ফারুক, নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য তাহেরা বেগম ও ছকিনা খাতুন শাহানারা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৬ মে হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে হতদরিদ্রের (ভিজিএফ) চাল জেলেদের যথাযথভাবে বিতরণ না করে ৩১ দশমিক ১২ টন চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় হাতিয়া থানায় নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব ছিদ্দিক আহম্মেদ জুয়েল বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলটি তদন্ত করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান।

অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের মার্চ থেকে জুন এই চার মাসের জন্য ৩৮৯ জেলের প্রত্যেককে ১৬০ কেজি হারে মোট ৬২ দশমিক ২৪ টন ভিজিএফের চাল সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর দায়িত্ব পান নিঝুম দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যানসহ অপর তিন আসামি।

কিন্তু জনপ্রতিনিধি হিসেবে তারা দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করে হতদরিদ্রের চাল বরাদ্দের চেয়ে কম পরিমাণে জেলেদের মাছে বিতরণ করেন। তদন্তকালে সাক্ষীদের জবানবন্দিতে ৩১ দশমিক ১২ টন চাল বিতরণ না করে আত্মসাৎ করার প্রমাণ পাওয়া যায়।

একইভাবে ২০১৬ সালের জানুয়ারি-জুন মাস পর্যন্ত ইউনিয়নের ১১৯ জন হতদরিদ্র নারীর জন্য সরকারি ভিজিডি কর্মসূচির ২১ দশমিক ৪২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। আসামিরা হতদরিদ্র নারীদের চাল কম দিয়ে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে চাল না দিয়ে ভুয়া মাস্টাররোল তৈরি করে ১০ দশমিক ৭১ মেট্রিক টন চাল আত্মসাৎ করেন।

বিচার শেষে নোয়াখালীর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ আলম আসামিদের সবাইকে চারটি ধারায় মোট ৯ বছরের সাজা ও ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে জেলহাজতে পাঠান।

মন্তব্য

Beta version