-->
শিরোনাম

প্রশাসন দেখলেই মাস্ক পরছেন তারা

পুলক পুরকায়স্থ, মৌলভীবাজার
প্রশাসন দেখলেই মাস্ক পরছেন তারা
মৌলভীবাজারের সেন্ট্রাল রোডে জেলা প্রশাসনের অভিযান। ছবি ভোরের আকাশ

সামনে মোবাইল কোর্ট, চলছে অভিযান' এমন খবর শুনেই তড়িঘড়ি করে মাস্ক পড়তে দেখা যায় অনেককে। কারো মাস্ক পকেটে, কারো থুতনিতে আবার কারো মাস্ক সঙ্গে না থাকায় পাশের দোকান থেকে কিনছেন। এমন চিত্র দেখা যায় মৌলভীবাজার জেলা শহরে।

করোনা মোকাবিলায় সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি জনসাধারণকে সচেতন করা, মাস্কপরা ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে চলছে নিয়মিত অভিযান। অভিযান পরিচালনা করে আসছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। যে জায়গায় অভিযান চলে সেই স্থানে প্রশাসনের সরব উপস্থিতি দেখেই মাস্ক পরতে দেখা যায় অনেকেই।

গতকাল বুধবার শহরের ব্যস্ততম সড়ক সেন্ট্রাল রোডে মাস্ক পরা ও সচেতনতা অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার ও ঊর্মি রায়। এই অভিযানে মাস্ক না পরার কারণে সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে জরিমানা করা হয়।

অভিযান দেখলেই মানুষ মাস্ক পরছে, অন্যথায় পরছে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি রায় বলেন, ‘এটাও আমাদের একটা সফলতা বলা যায়। ভয়ে হলেও তো মানুষের মাস্ক পরার অভ্যাস হচ্ছে।’

তিনি জানান, আমাদের মানুষজন অনেক অসচেতন, তারা মাস্ক পরতে চান না। মাস্ক না পরার পক্ষে অনেক যুক্তি দেখান তারা। তবে আমাদের নিয়মিত অভিযানের ফলে অনেকের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে। মাস্ক পরার অভ্যাস হচ্ছে এবং মাস্ক পরার সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।

সিএনজি চালক লিটন মিয়া বলেন, ‘আমার গাড়িতে থাকা যাত্রীকে মাস্ক না থাকায় ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা করেছেন। আমার মাস্ক থাকায় আমাকে জরিমানা করেননি। তবে ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে বলেছেন মাস্ক ছাড়া গাড়িতে যাত্রী না তুলতে।

জরিমানার শিকার হওয়া নাহিদ হোসেন বলেন, ‘ভুলে মাস্ক বাসায় রেখে এসেছি। ম্যাজিস্ট্রেট মাস্ক ছাড়া পেয়ে ২০০ টাকা জরিমানা করেছেন। পরে মাস্ক নিয়মিত পরব, এ ভুল আর হবে না।’

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। জেলা শহরে প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে দুইধাপে ৯টি টিম বের হচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনসচেতনতার লক্ষ্যে আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে।’

মন্তব্য

Beta version