-->
শিরোনাম

বাম্পার ফলনের আশায় পেঁয়াজ চাষিরা

মিলন উল্লা, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
বাম্পার ফলনের আশায় পেঁয়াজ চাষিরা
পেঁয়াজের ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকরা। ছবি ভোরের আকাশ

কুষ্টিয়ার প্রত্যেকটি উপজেলায় পেঁয়াজের ক্ষেত পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। একদমই দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের। চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন আশা করছেন তারা। জেলার দৌলতপুর, মিরপুর, কুমারখালী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে ১২ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। তবে চাহিদামতো পেঁয়াজের চারার সরবরাহ, কৃষি অফিস থেকে সঠিক সময়ে প্রণোদনা দেওয়া, অনুক‚ল আবহাওয়া থাকার কারণে এ বছর কুষ্টিয়া জেলায় ১৩ হাজার ৪৬৪ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৫৪ হেক্টর বেশি।

জেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর পেঁয়াজের প্রতি কেজি চারা ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এবার তা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। প্রতি কেজি পেঁয়াজের বীজ গত বছর খোলা ৬ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও এ বছর তা কমে বিক্রি হয়েছে ৩ থেকে ৬ হাজার টাকায়। এবার বিঘাপ্রতি পেঁয়াজ উৎপাদনে বীজ, চারা, সার, পরিচর্যাসহ খরচ হবে ২৮ থেকে ৩২ হাজার টাকা। সাধারণত প্রতি বিঘায় ৪৫ থেকে ৬০ মণ পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়। যার বাজারমূল্য ৪০ থেকে প্রায় ৮০ হাজার টাকা হতে পারে।

কুমারখালী উপজেলার বাধবাজার এলাকার কৃষক দেলোয়ার হোসেন জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করেছেন। বর্তমানে পেঁয়াজ ক্ষেতে নিড়ানো, সার বোনা ও কীটনাশক স্প্রে করার কাজ চলছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে গত বছরের চেয়ে অর্ধেক খরচে পেঁয়াজ ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন। তিনি আরো জানান, এ বছর অসময়ে কিছুটা বৃষ্টি হয়েছে, তবে অধিক বৃষ্টি না হলে পেঁয়াজের তেমন ক্ষতি হবে না।

মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া এলাকায় তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করেছেন কৃষক শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গতবারের চেয়ে এবার চাষে খরচ কমেছে। এবার বিঘাপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এখন নিয়মিত ক্ষেত পরিচর্যা করছি। আশা করছি, ফলন ভালো হবে।’ কুষ্টিয়া জেলার কৃষি উপপরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বলেন, কৃষকদের অর্থকরী ফসলের মধ্যে পেঁয়াজ অন্যতম।

মন্তব্য

Beta version