-->
শিরোনাম

মরা গাছে ‘মরণফাঁদ’!

আহসান রাজীব, সাতক্ষীরা 
মরা গাছে ‘মরণফাঁদ’!
ইসলামকাটি-পাটকেলঘাটার আঞ্চলিক সড়কে কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে মরা গাছ। ছবি ভোরের আকাশ

আঞ্চলিক সড়কটির দুই পাশেই রয়েছে গাছ। তবে সবুজ গাছগুলো ‘কঙ্কাল’ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। রাস্তার ওপরে থাকা মরা গাছগুলোর ডাল ভেঙে যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও। প্রতিদিন আতঙ্ক নিয়ে এই সড়কে চলাচল করছেন পথচারীরা। বলছি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি-পাটকেলঘাটার আঞ্চলিক সড়কের প্রায় ৯ কিলোমিটার রাস্তার কথা।

রাস্তাটি দুপাশে কঙ্কালের ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে বিশাল আকৃতির অর্ধশত মরা গাছ। এগুলো এখন ‘মরণ ফাঁদ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে পথচারীসহ এলাকার মানুষের জন্য। স্থানীয়রা জানান, রাস্তার দুপাশে লাগানো গাছগুলো জেলা পরিষদের। ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে জেলার বিভিন্ন জনপদ। ঝড়ের প্রভাবে সড়কটির বড় বড় গাছ উপড়ে পড়াসহ অধিকাংশ গাছ দুমড়েমুচড়ে যায়। উপড়ে পড়া গাছ জেলা পরিষদ অপসারণ করলেও দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাছগুলো অপসারণ করেনি তারা।

এ ছাড়া টানা বৃষ্টিপাতের ফলে এলাকাটিতে দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতা ছিল। ফলে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাছগুলো মারা যায়। এসব গাছ অপসারণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করলেও কোনো লাভ হয়নি। বরং প্রায় দুই বছর ধরে এই সড়কটির দুপাশের মরা গাছগুলো এভাবেই পড়ে আছে। গাছগুলো অপসারণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তার পরও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রাস্তায় চলাচল করছেন পথচারীরা এবং জমিতে আবাদ করছেন রাস্তার পাশের জমির মালিকরা।

ইসলামকাটি গ্রামের ভ্যানচালক জাহিদ হোসাইন জানান, প্রতিদিন তাকে এই রাস্তায় চলাচল করতে হয় জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে। কয়েকদিন আগের ঝড়ে একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন তিনি। এ জন্য তার আতঙ্ক আরো বেড়ে গেছে। ভাগবাহ গ্রামের কৃষক জাবের হোসেন বলেন, ‘রাস্তার পাশের জমিতে বোরো চাষ করছি। জমির পাশেই রাস্তার গাছগুলো মরে গেছে। তাই সব সময় ভয়ে থাকিÑ কখন যে মরা গাছ মাথার ওপর ভেঙে পড়ে।’

তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘উপজেলার ইসলামকাটি-পাটকেলঘাটা সড়কের শুকিয়ে যাওয়া গাছগুলো জেলা পরিষদের। গাছগুলো মরে যাওয়ার ফলে মানুষের চলাচলের বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি জেলা পরিষদকে অবগত করা হয়েছে।’

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই সড়কের অধিকাংশ গাছ শুকিয়ে যাওয়ায় রাস্তার ওপর ভেঙে পড়ছে। গাছগুলো কেটে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। দ্রুত মরা গাছগুলো অপসারণ করা হবে।’

মন্তব্য

Beta version