-->
শিরোনাম

‘চোখের সামনে সবই পুড়ে শেষ হয়ে গেল’

নীলফামারী প্রতিনিধি
‘চোখের সামনে সবই পুড়ে শেষ হয়ে গেল’
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর

নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৮টি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার জুম্মা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ২৮ পরিবারের প্রায় ৬০টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরও পাঁচ পরিবারের অন্তত ১০টি ঘর।

সব হারিয়ে পরিবারগুলো এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এছাড়া বই-পুস্তক পুড়ে ছাই হওয়ায় ১৮ শিক্ষার্থীর লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় আহত দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট অথবা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

আগুনে সব হারিয়ে নিঃস্ব রুবেল ইসলাম বলেন, ‘রাতে হঠাৎ আগুন লাগলে চারদিকে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়। ফায়ার সার্ভিস আসতে আসতে আমার সব শেষ হয়ে যায়। বাচ্চার বই, সার্টিফিকেট, টাকা-পয়সা, আসবাবপত্র সবই পুড়ে শেষ হয়ে যায়।’

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের অংশ

 

একই এলাকার মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আগুন লাগছে, খবর পেয়ে এসে দেখি চোখের সামনে পুড়ছে আমার ঘর। কোনো কিছুই নিতে পারিনি। চোখের সামনে সবই পুড়ে শেষ হয়ে গেল।’

ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স নীলফামারীর উপ-সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৮টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ২১ পরিবারের সব পুড়ে গেছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট অথবা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আমাদের প্রাথমিক ধারণা।’

ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের এই কর্মকর্তা।

মন্তব্য

Beta version