সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় বক্তারা বলেছেন, সুন্দরবনের সুরক্ষায় বনের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। বিশেষ করে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।
বক্তারা আরও বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিপুল জনগোষ্ঠীর জীবন রক্ষায় সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। আর এ জন্য সুন্দরবনে প্রবেশাধিকার আরও সংরক্ষিত হওয়া দরকার। দুবলারচরকে শুঁটকিমাছ প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল হিসেবে রাখা হবে কিনা তা নতুন করে ভাববার সময় এসেছে।
ভার্চুয়াল ওই সভায় সুন্দরবন বিষয়ক পৃথক মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস পালনের দাবি জানানো হয়েছে। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সুন্দরবন একাডেমির উদ্যোগে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পিরোজপুর ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সুন্দরবনপ্রেমীদের অংশগ্রহণে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সূচনা বক্তৃতা করেন সুন্দরবন একাডেমির পরিচালক ফারুক আহমেদ। প্রায় ৭০ জন সুন্দরবনপ্রেমী এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় বক্তৃতা করেন সুন্দরবন গবেষক অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার দত্ত। সুন্দরবন সন্নিহিত এলাকার সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন পিরোজপুরের মুনীরুজ্জামান নাসিম আলী, সাতক্ষীরার কল্যাণ ব্যানার্জী, বাগেরহাটের আহাদ উদ্দিন হায়দার প্রমুখ।
মূলত করোনার কারণে চলমান নিষেধাজ্ঞায় গতবারের মতো এবারও সীমিতভাবে দিবসটি পালিত হয়। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং অনন্যসুন্দর প্রাকৃতিক এ সম্পদ সংরক্ষণে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সুন্দরবন একাডেমির আয়োজনে খুলনাসহ সুন্দরবন সন্নিহিত জেলাগুলোতে বেসরকারিভাবে সুন্দরবন দিবসের নানাবিধ কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ক্লাবের উদ্যোগে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে হাদী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
মন্তব্য