-->
শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জে পত্রিকা অফিসে হামলা

আজমেরী বাহিনীকে গ্রেপ্তারের দাবি নাগরিক কমিটির

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আজমেরী বাহিনীকে গ্রেপ্তারের দাবি নাগরিক কমিটির

নারায়ণগঞ্জে পত্রিকা অফিসে হামলার ঘটনায় আজমেরী ওসমানসহ তার বাহিনীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে নাগরিক কমিটি। আজমেরী বাহিনীকে থামানো না গেলে সামনে আরও বড় ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা।

ত্বকী হত্যাকাণ্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় স্থানীয় দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জ পত্রিকা কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও সংবাদকর্মীদের হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় এ দাবি জানিয়েছেন কমিটি নেতারা।

সংগঠনের সভাপতি এবি সিদ্দিক বলেন, ‘তারা এতটাই ব্যাপরোয়া হয়ে উঠেছে যে পত্রিকা অফিসে হামলা করে সংবাদপত্রের মুখ বন্ধ করতে চায়। যারা হামলা চালিয়েছে প্রশাসনের উচিত তাদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা। ঘটনার দুইদিন পার হয়ে গেছে কিন্তু হামলার নেতৃত্বকারীরা ধরাছোয়ার বাইরে।’

নাগরিক কমিটির সম্পাদকীয় মণ্ডলীর সদস্য ধীমান সাহা জুয়েল বলেন, ‘প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে তাদের নাকের ডগায় বসে আজমেরী ওসমান বাহিনী গণমাধ্যমের ওপর হামলা করার সাহস পায়। এর বাইরেও তারা নানা অপরাধ সংগঠিত করছে। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, আপনাদের মেরুদণ্ড সোজা রেখে এ শহরের সন্ত্রাসীদের ধরে বিচারের আওতায় আনেন।’

একই ঘটনায় আজমেরী ওসমানসহ তার সহযোগীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ ও নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা-খুন ও চাঁদাসহ ব্যবসায়ীদের টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন ও নানা অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে বিবৃতিতে।

ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি ও সদস্য সচিব হালিম আজাদ এবং নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায় ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ স্বাক্ষরিত পৃথক বিবৃতিতে প্রকাশ করেন তারা।

সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও নিহত ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি জানান, এ শহরে যারাই ত্বকী হত্যার বিচার চেয়েছে তাদের ওপর হামলা ও মারধর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ত্বকী হত্যা মামলার গ্রেপ্তারকৃত আসামী সুলতান শওকত ভ্রমরের আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে যেহেতু আজমেরী ওসমানের নাম এসেছে সেহেতু তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। এছাড়া হত্যার সাথে জড়িত যেসব সহযোগী রয়েছে তাদেরকেও আইনের আওতায় এনে বিচার শুরুর দাবি জানাচ্ছি।’

সদর মডেল থানার পুলিশ পরির্দশক আজিজুল হক বলেন, ‘পত্রিকা অফিসে হামলা ভাঙচুর, সংবাদকর্মীদের প্রাণনাশের হুমকি ও দেড় লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগে করা মামলাটি সোমবার ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ কারণে মামলার তদন্তসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করবে জেলা গোয়েদা (ডিবি) পুলিশ।’

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি শাখা) জাহিদ পারভেজ বলেন, ‘হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা পলাতক তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ মামলার বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

মন্তব্য

Beta version