-->
শিরোনাম

গাড়লে সচ্ছল

সোহান মাহমুদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
গাড়লে সচ্ছল

কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে গাড়ল পালন। এরই মধ্যে গাড়ল পালনে অনেকেই সফলতা পেয়েছেন। অনেকে আবার এ গাড়ল পালন করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নও দেখছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে গাড়ল পালন করে লাভবান হচ্ছেন বেশকিছু উদ্যোক্তা। খামারিরা বলছেন' প্রাকৃতিক খাবারেই গাড়ল পালন করে স্বল্প খরচে অধিক লাভ হয়। ফলে গাড়ল পালনে ঝুঁঁকছেন তারা।

গাড়ল খামারি শীষ মোহাম্মদ বলেন, আমার সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকত। তাই গত পাঁচ বছর আগে গাড়ল পালন শুরু করি। প্রথমে ২৮টি মা গাড়ল ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় কিনে বাড়িতে পালন করতে থাকি। এখন আমার খামারে ১০০টির বেশি গাড়ল রয়েছে। অনেকগুলো বিক্রিও করেছি। এ গাড়ল বিক্রির জন্য হাটে-বাজারে নিয়ে যেতে হয় না। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে খামারিরা এসে আমার কাছ থেকে গাড়ল কিনে নিয়ে যান। তিনি আরও বলেন, গাড়লের মাংস অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়লের মাংসের ব্যাপক চাহিদা। আমার স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি মাংস ৭০০-৮০০ কেজি ধরে বিক্রি হয়।

‘মাঠে ছেড়ে দিয়ে প্রাকৃতিক খাবার ঘাস ও লতাপাতা থেকেই গাড়ল পালন করা সম্ভব। তবে সারাদিন মাঠের লতাপাতা খাওয়ানোর পরে সন্ধ্যায় কিছু শুকনো খাবার আমরা দিয়ে থাকি। গাড়ল প্রতি বছর দুটি করে বাচ্চা দেয়। গাড়ল পালন করেই আমার সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে।’

জিহাদ আলী নামে আরেক খামারি বলেন, ‘তিন বছর আগে আমি বিদেশে ইউটিউবে দেখতাম কীভাবে ভেড়া পালন করতে হয়। তারপর আমি দেশে এসে ইউটিউব দেখে ভেড়া পালন শুরু করি। এখন আমি ভেড়া পালন করে অনেক কিছু করতে পেরেছি। আমার নিজের আমবাগানে গড়ে তুলেছি গাড়ল খামার।

‘গাড়লের একটা ভালো দিক হচ্ছে, এরা মাটিতে যা পায় তা-ই খায়। ওপরে মুখ করে না। তাই আমবাগানেই গাড়ল খামার বানিয়েছি’, বলেন জিহাদ আলী।

এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাওসার আলী বলেন, গাড়ল ভেড়ার একটি উন্নত জাত। বেশ কিছুদিন ধরেই এ উপজেলায় গাড়ল পালন বেশ জনপ্রিয়। উপজেলায় মোট গাড়ল খামার আছে ৪৮টি। এর মধ্যে নিবন্ধিত খামারের সংখ্যা ২৬টি।

‘অন্য গৃহপালিত প্রাণীর চেয়ে গাড়লের রোগবালাই কম হয় ও দ্রæত মাংস বাড়ে। লাভজনক হওয়ায় গাড়ল পালনে অনেকে এগিয়ে আসছেন। প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে খামারিদের গাড়ল প্রজাতির ভেড়া পালনে চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’

মন্তব্য

Beta version