-->
শিরোনাম

পুরো উপজেলায় একমাত্র জিপিএ-৫

মাইন উদ্দিন, খাগড়াছড়ি
পুরো উপজেলায় একমাত্র জিপিএ-৫
শারীরিক প্রতিবন্ধী দীপা নন্দী

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার শারীরিক প্রতিবন্ধী দীপা নন্দী আবারো ঈর্ষান্বিত ফল করেছে। মামা-মামির অভাবের ঘরে আবারো জিপিএ-৫ এনে দিয়েছে অদম্য এই তরুণী।

পানছড়ি সরকারি ডিগ্রি কলেজের ব্যবসা শাখা থেকে ২০২১ সালের অনুষ্ঠেয় এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এমন সাফল্য তার। এ ছাড়া পুরো উপজেলায় এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া একমাত্র শিক্ষার্থী সে।

দীপা নন্দী এর আগে পানছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালের এসএসসিতেও উপজেলার জিপিএ-৫ পাওয়া একমাত্র শিক্ষার্থী ছিল। এ ছাড়া পিএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষাতেও তার ঝুলিতে জমা পড়েছিল জিপিএ-৫।

শারীরিক প্রতিবন্ধতা আর অভাব কোনোভাবেই দমাতে পারেনি পিতৃহীন দীপাকে। বরং প্রতিবন্ধিত্বের বাধা ছাপিয়ে প্রতিযোগী হিসেবেই নিজেকে প্রস্তুত করেছে। দীপার মা মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই তার ঠাঁই হয়েছে দরিদ্র মামা-মামির অভাবের সংসারে। মামা সঞ্জয় দাশ আর মামি চুমকি বিশ্বসের আশ্রয়ে থেকেই দীপা নন্দী একের পর এক সাফল্য এনে তাক লাগাচ্ছে পুরো উপজেলায়। অদম্য অভিপ্রায় আর কঠোর অধ্যবসায়ই দীপার সাফল্যের নেপথ্য রহস্য বলে জানিয়েছে তার মামি চুমকি বিশ্বাস। স্কুল-কলেজ পেরিয়ে দীপা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পা বাড়াবে। তার ইচ্ছে ব্যাংকার হওয়ার। তবে মাঝখানটায় বিপত্তি হলো আর্থিক অনটন। কারো সহায়তা ছাড়া দীপার এই স্বপ্ন আরাধ্যই রয়ে যাবে। এমনটাই শঙ্কা প্রকাশ করেছে মামা সঞ্জয় দাশ।

দীপার উচ্চশিক্ষার জন্য সমাজের সুহৃদদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন জেলা প্রতিবন্ধীবিষয়ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান। তিনি বলেন, ‘দীপার এমন সাফল্য একই সঙ্গে আনন্দের, অনুকরণীয় এবং ঈর্ষান্বিত। সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে সে। আমরা সবসময় তার পাশে থাকব।’ এদিকে দীপা নন্দীর ধারাবাহিক সাফল্যে কলেজের শিক্ষক, সহপাঠী, স্থানীয়রা এবং পরিবারের সদস্যরা উচ্ছ¡াস প্রকাশ করেছে।

মন্তব্য

Beta version