প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রানুয়ারা খাতুন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি উদ্যোগ সফল করতে আমি অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাব। মানবসেবার ব্রত নিয়েই চাকরিতে এসেছি। আমি এ উপজেলার জন্য যা করছি তা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ থেকে।’
মঙ্গলবার টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে দৈনিক ভোরের আকাশের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ইউএনও এসব কথা বলেন।
ইউএনও বলেন, ‘এই উপজেলায় আসার পরে অনেক প্রভাবশালীদের কাছ থেকে সরকারি জমি উদ্ধার করে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প করেছি। মানুষ বিভিন্ন বিষয়ে বিসিএস দেয়, আমি প্রশাসন ক্যাডারে দিয়েছি যাতে করে সাধারণ মানুষের সেবা করতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘সবার কাছে একটাই চাওয়া, উপজেলার যেকোনো সমস্যা হলে সরাসরি আমার কাছে চলে আসবেন, সবার জন্য সেবা দিতে আমি প্রস্তুত।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর ইউএনও হিসেবে গত বছরের ৩ মার্চ যোগদান করেন রানুয়ারা খাতুন। দায়িত্ব নিয়েই তিনি উপজেলার মানুষের প্রতি ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেন। বাল্যবিয়ে ও যৌতুক প্রথা বন্ধ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, সরকারি জমি উদ্ধার, চাঁদাবাজি বন্ধ এবং মাদক নির্মূলে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করেছেন। যার কারণে এলাকার মানুষের অতি কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউএনও রানুয়ারা খাতুন যোগদানের পর উপজেলা প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মিত হয়েছে। এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে নিয়ে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছেন এই কর্মকর্তা।
জানা যায়, চলমান করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে উপজেলার গ্রামগুলোতে লোকজনদের সচেতন করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন রানুয়ারা খাতুন। করোনাকালীন লকডাউনে থাকা পরিবার বা এলাকাগুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে নিজেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন।
এসব কর্মকাণ্ডে উপজেলা জুড়ে মানবিক ইউএনও হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন রানুয়ারা খাতুন ।
মন্তব্য