পটুয়াখালীতে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে অনিশ্চয়তা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীতে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে অনিশ্চয়তা

সরকারিভাবে আমন ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হলেও কৃষকপর্যায়ে তেমন কোনো সারা নেই। ফলে এ বছর সরকারের আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তবে ধানের মূল্যবৃদ্ধি এবং মোবাইল অ্যাপের পরিবর্তে সরাসরি ধান ক্রয় করলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সারাদেশে গত ৭ নভেম্বর থেকে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করে খাদ্য অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালী জেলায় ৮ হাজার ৪৬১ টন ধান এবং ৬ হাজার ৩০৭ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। এবার সরকার ২৭ টাকা কেজি দরে ধান এবং ৪০ টাকা কেজি দরে চাল সংগ্রহ করছে। তবে ধান সরবরাহের বিষয়ে কৃষকের তেমন আগ্রহ নেই। আর এই সংগ্রহ অভিযান শেষ হচ্ছে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর এলাকার কৃষক আবদুল বারেক মৃধা জানান, সরকারি গোডাউনে ধান সরবরাহ করতে হলে ধানের আর্দ্রতা ১৪ শতাংশ এবং প্রতি কেজিতে চিটার পরিমাণ এক শতাংশ থাকতে হয়। এ কারণে সরকারি গোডাউনে তারা ধান সরবরাহ করছেন না। এ ছাড়া মোবাইলে রেজিস্ট্রেশনসহ অনান্য জটিলতা তো রয়েছেই।

পটুয়াখালী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো, লিয়াকত আলী জানান, দালালদের দৌরাত্ম্য কমাতে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনতেই সরকার মোবাইল অ্যাপসহ বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে মাঠপর্যায়ে ধানের দাম ভালো থাকায় কৃষক সরকারি গোডাউনে ধান সরবরাহ করছে না।

মন্তব্য