-->
শিরোনাম

কুষ্টিয়ায় জাসদের সঙ্গে সংঘর্ষে আ. লীগ নেতা নিহত, গুলিবিদ্ধ আরো ৩

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় জাসদের সঙ্গে সংঘর্ষে আ. লীগ নেতা নিহত, গুলিবিদ্ধ আরো ৩
সংঘর্ষের পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি- ভোরের আকাশ

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় জাসদের সঙ্গে সংঘর্ষে সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক মণ্ডল নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চাঁদগ্রামে নির্বাচন পরবর্তী এ সংঘর্ষে গুলিতে আহত হয়েছেন নিহত সিদ্দিকের তিন ভাই। এর আগে তাদের এক স্বজনের পায়ের রগও কেটে দেওয়া হয়। সংঘর্ষে তাদের এক প্রতিপক্ষও আহত হয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ তিনজন ও যার পায়ের রগ কাটা পড়েছে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত সিদ্দিকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত সিদ্দিক চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের ওমর আলীর ছেলে। তিন নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। গুলিবিদ্ধরা হলেন- নিহত সিদ্দিকের ভাই আনিসুজ্জামান ইউনুস মণ্ডল (৪৮), আব্দুল খাল্লেক (৪৫) ও বাদশা মণ্ডল (৪২)।

প্রতিপক্ষের লোকজন প্রথমে তাদের আত্মীয় গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে আবু বক্কার কুব্বাতের (৩৫) পায়ের রগ কেটে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন নিহত সিদ্দিকের ভাই ইউনুস মণ্ডল।

তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে জাসদের বর্তমান চেয়ারম্যান তপনের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলছে। আমরা নৌকার পক্ষে ভোট করায় তারা আমাদের ওপরে বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। আজ সকালে আমার ভাই কুব্বাত জিকে ক্যানেলের ওপরে ঘাস কাটতে যায়।

‘সেখানে গেলে প্রতিপক্ষ জাসদ নেতা তপনের লোকজন তার ওপরে হামলা চালায়। তারা তার পায়ের রগ কেটে দেয়। তাকে উদ্ধারের জন্য আমরা এগিয়ে গেলে আমাদের ওপর বৃষ্টির মতো গুলি চালায় তারা। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আমার ভাই সিদ্দিক মারা যান। আহত হন আমার আরো তিন ভাই।’

তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি আব্দুল হাফিজ তপন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি একটি গোষ্ঠীগত গ্যাঞ্জাম। প্রতিপক্ষরা আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার জন্য এই দোষারোপ করছে।’

ভেড়ামারা থানার ওসি মজিবর রহমান জানান, শুক্রবার সকালে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত চারজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং যার পায়ের রগ কাটা পড়েছে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি জানান, বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ময়নাতদন্তের জন্য সিদ্দিকের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি মজিবর।

মন্তব্য

Beta version