-->
শিরোনাম

গা‌রো পাহাড়ে ফের হা‌তির মর‌দেহ উদ্ধার

শেরপুর প্রতি‌নি‌ধি
গা‌রো পাহাড়ে ফের হা‌তির মর‌দেহ উদ্ধার
গারো পাহাড়ে পরে থাকা হাতির মরদেহ পরিদর্শন করছেন সংশ্লিষ্টরা

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এক বন্যহাতির মর‌দেহ উদ্ধার করা হ‌য়ে‌ছে।

শ‌নিবার (১৯ ফেব্রুয়া‌রি) সকা‌লে গারো পাহাড়ের হালচা‌টির গজনী বিটের আঠারো ঝোড়া এলাকার ১১০২ নম্বর পিলা‌রের ভেতর থে‌কে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উপ‌জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার ধারণা, ‘খা‌দ্যের বিষ‌ক্রিয়ায়’ হা‌তি‌টির মৃত‌্যু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত ক‌য়েকদিন ধ‌রে ভারত থেকে খা‌দ্যের সন্ধা‌নে উপ‌জেলার হালচা‌টি এলাকা দিয়ে কয়েকটি হাতির দল লোকাল‌য়ে না‌মে। এরপর থে‌কেই সীমান্তবর্তী বি‌ভিন্ন টিলায় হাতগুলো অবস্থান নেয়।

গজনী বিট কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ ব‌লেন, ‘সকা‌লে আমরা সংবাদ পে‌য়ে ঘটনাস্থ‌লে গি‌য়ে মৃত অবস্থায় এক‌টি হা‌তি দেখ‌তে পাই। প‌রে উপ‌জেলা প্রাণিসম্পদকে অব‌হিত কর‌লে তারা ঘটনাস্থ‌লে এসে মৃত হা‌তি‌টির নমুনা সংগ্রহ ক‌রেন। কী কার‌ণে হা‌তি‌টি মারা গে‌ছে তা ল্যাবে পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

‌ঝিনাইগাতী উপ‌জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘প্রাথ‌মিকভা‌বে আমরা ধারণা কর‌ছি, খা‌দ্যের বিষ‌ক্রিয়ায় হা‌তি‌টির মৃত‌্যু হয়েছে। হাতিটির বয়স আনুমা‌নিক ১০ হতে ১২ বছর হবে। দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৫ ফুটের হাতিটি স্ত্রী জাতের।’

এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে প্রকৃতি ও পরিবেশবাদী বি‌ভিন্ন সংগঠন।

প্রকৃতি ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘সবুজ আন্দোলন’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন ব‌লেন, ‘শেরপুরের গারো পাহাড়ে একের পর এক হাতির মৃত্যু ও হত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে। এসব হাতিকে নানা উপায়ে হত্যা করা হলেও এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

‘শুধুমাত্র একটি হাতি হত্যার ব্যাপারে মামলা হলেও বাকিগুলোর বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যে কারণে গারো পাহাড়ে হাতি হত্যা থামছেই না’, বলেন মেরাজ উদ্দিন।

হাতি মৃত্যুর ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে মৃত্যুর মূল কারণ উদঘাটন এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

গত তিন মাসে জেলায় চারটি হাতির মৃত্যু হ‌য়েছে।

মন্তব্য

Beta version