-->
শিরোনাম

প্রবাসীর অর্থায়নে ৫ স্কুলে শহীদ মিনার

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রবাসীর অর্থায়নে ৫ স্কুলে শহীদ মিনার

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সলিমাবাদ ইউনিয়নের ৫টি বিদ্যালয়ে নিজ অর্থায়নে শহীদ মিনার নির্মাণ করেছেন প্রবাসী সুমন সিকদার। পুরো উপজেলায় বর্তমান সময়েও অনেক বিদ্যালয়ে কলা গাছ এবং বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। বীর শহীদদের এভাবে স্মরণ করার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি সুমন সিকদার। তিনি প্রতি বছর একে একে পাঁচটি শহীদ মিনার নির্মাণ করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের উত্তর, পূর্ব, পশ্চিম ও খাস ঘুনিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগে কোনো স্থায়ী শহীদ মিনার ছিল না। ফলে শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারতেন না। এখন শহীদ মিনার নির্মাণ হওয়ায় ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পেরে শিক্ষার্থীরা আনন্দিত।

সলিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাহিদ জানান, কলা গাছ লাগিয়ে শহীদ মিনার বানাতো তরা। এখন শহীদ মিনার নির্মিত হওয়ায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আনন্দিত তারা।

৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা বলেন, সকাল হলে কলা গাছের শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া লাগে এখন সুন্দর শহীদ মিনার পেয়েছি, খুব খুশি লাগছে।

এ বিষয়ে সুমন সিকদার মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি যখন কলেজের পড়তাম তখন কলা গাছ এবং বাঁশ দিয়ে তৈরি শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মরণ করতাম। সেই সময় থেকে চিন্তা ছিল ভাষা শহীদদের স্মরণ ও তাদের গুরত্ব ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন জানতে পারে। সেই লক্ষ্যে আমরা ১০ জন বন্ধু মিলে প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করি। এরপর একে একে আমি নিজেই ৫টি শহীদ মিনার নির্মাণ করে দিয়েছি। দেশপ্রেম থেকেই মূলত এমন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছি।’

এ প্রসঙ্গে নাগরপুর উপজেলা সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুজায়েত হোসেন বলেন, ‘সলিমাবাদ ইউনিয়নের কৃতি সন্তান সুমনের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। উপজেলার অনেক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকার বিষয়টি দুঃখজনক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যেন দ্রুত নাগরপুরের সব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ হয়।’

শহীদ মিনার নির্মাণের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে সলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহীদুল ইসলাম অপু বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের একজন যিনি প্রবাসে থেকেও দেশের প্রতি তার ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছেন। তার মতো এমন উদ্যোগে অনেকেই এগিয়ে আসবেন বলে আমি আশাবাদী।’

মন্তব্য

Beta version