রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট রোববার সকাল থেকেই ফাঁকা পড়ে আছে। মহাসড়কে নেই কোনো যানবাহণের দীর্ঘ সারি। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে পণ্যবাহী ট্রাক ও দূরপাল্লার গণপরিবহন যা আসছে তা লাইনে দাঁড়িয়ে না থেকেই ফেরিতে উঠতে পারছে। অনেক সময় ফেরি ফাঁকা রেখেই পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেরে যাচ্ছে।
বিপরীত পাশে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের চিত্র প্রায় একই। গাড়ির চাপ কম থাকায় প্রতিটি ফেরি পণ্যবাহী ট্রাক ও গণপরিবহন নিয়ে ছেড়ে আসছে।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, সময় কম লাগছে ফেরিগুলোকে ঘাটে ভিড়তে। সেইসঙ্গে ১৮টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে যানবাহন। তাই ঘাটে যানবাহনের চাপ কমেছে।
সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাটে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবস্থান করে দেখা যায়, দৌলতদিয়ার চারটি ঘাটেই ফেরি রয়েছে। যেসব যানবাহন ফেরি পার হতে ঘাটে আসছে তা লাইনে দাঁড়িয়ে না থেকেই ঘাটে গিয়ে ভিড়ছে।
যশোর থেকে ছেড়ে আসা ট্রাকের চালক আব্দুল্লাহ খান বলেন, আমি যশোর থেলে চালবোঝাই করে খুব ভোরে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করি। ঘাটে এসে কোনো ধরনের অপেক্ষা ছাড়াই ফেরিতে উঠতে পেরে ভালো লাগছে।
বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা সাকুরা পরিবহনের চালক জানান, দুইদিন আগেও ঘাটে এসে ৩-৪ ঘণ্টা দীর্ঘ সিরিয়ালে আটকে থাকতে হতো,কিন্তু আজ ঘাটে একেবারেই গাড়ির কোনো লাইন নেই।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যাবস্থাপক মো. সিহাব উদ্দিন বলেন, ‘নদীতে স্রোত কম ও পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় পারাপারে সময় কম লাগছে। তারপর আবার আজ গাড়িও কম। যানবাহনগুলো ঘাটে আসামাত্রই ফেরি পাওয়ায় মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন থাকছে না। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোটবড় মিলিয়ে মোট ১৮টি ফেরি চলাচল করছে।’
মন্তব্য