-->
শিরোনাম

বাবা উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিলেন ছেলে

মো. জিয়াউর রহমান, নেত্রকোনা প্রতিনিধি
বাবা উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিলেন ছেলে
বাবা নুরুল ইসলাম ও ছেলে শাহীন মিয়া

বাবা মো. নুরুল ইসলাম নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং তার ছেলে মো. শাহীন মিয়া শপথ নিয়েছেন একই উপজেলার ৩নং দলপা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শাহীন মিয়ার এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

চেয়ারম্যান এই বাবা ও ছেলের বাড়ি কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে। উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং একাধারে তিনি একজন কবি, নাট্যকার, গীতিকার, লোকসাহিত্য গবেষক, সংগ্রাহক ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। আর ইউপি চেয়ারম্যান ছেলে শাহীন মিয়া এলাকায় একজন সাদামাটা, বন্ধু বৎসল, পরোপকারী ও সাধারণ মানুষের সেবায় নিবেদিত ব্যক্তি হিসেবে সুপরিচিত। তিনি পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে দলপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে লড়াই করে বিজয়ী হন।

এদিকে বাবা ২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেন্দুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর এবার ছেলে শাহীন মিয়াও দলপা ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় তাদের প্রতি এলাকার সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেকটাই বেড়ে গেছে। বিশেষ করে দলপা ইউনিয়নবাসী খুবই খুশি। তাদের প্রত্যাশা যেহেতু বাবা উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান হয়েছেন, তাই দলপা ইউনিয়নে উন্নয়ন কার্যক্রমও বেশি হবে এবং ইউনিয়নটির সাধারণ মানুষ সরকারি সব ধরনের সেবা পাবে।

দলপা ইউনিয়নের ইটাউতা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নের মানুষ খুবই ভাগ্যবান। আমরা একই ইউনিয়নে বাবা-ছেলে দুজন চেয়ারম্যান পেয়েছি। তাই তাদের প্রতি আমাদের চাওয়া এবং প্রত্যাশাও বেশি। আশা করি, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে আমাদের ইউনিয়নটিকে তারা একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলবেন। সব রকম উন্নয়ন হবে এবং কোনো মানুষই সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন না।’

দলপা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহীন মিয়া বলেন, ‘ইউনিয়নবাসী নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। আমি তাদের সেবক। একজন সেবক হয়েই সাধারণ মানুষের সুখে-দুঃখে সব সময় আমি তাদের পাশে থাকতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নৌকা হলো উন্নয়নের প্রতীক। এই উন্নয়নের প্রতীকে এলাকার ভোটাররা ভোট দিয়ে আমাকে চেয়ারম্যান বানিয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর সকল উন্নয়ন কাজ আমার ইউনিয়নে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করব। আমার ইউনিয়নের মানুষ সরকারি কোনো সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে না বলে আশা করি। আমি আমার ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্য, সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ইউনিয়নটিকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

এ বিষয়ে কথা হলে কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যেহেতু বাবা-ছেলে দুজনই চেয়ারম্যান, সেহেতু আমার এলাকার সাধারণ মানুষসহ পুরো উপজেলাবাসীরই প্রত্যাশা রয়েছে। আমরা সে প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করছি এবং করব।’

তিনি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে রাজনীতি করেছি এবং এখনও করছি। আর এ জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেন এবং আমি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।’ এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিলকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার, উন্নয়নের সরকার। এ সরকারের প্রত্যেকটি উন্নয়ন কাজ আমরা তৃণমূল পর্যায়ে সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি এবং করব। সরকারের নানামুখী কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ খুবই সন্তুষ্ট। আমরা এই সন্তুষ্টির জায়গাটি অক্ষুণ্ন রাখার চেষ্টা করব।’

মন্তব্য

Beta version