রাজশাহীর বাঘায় জামায়াতে ইসলামের গোপন বৈঠক শেষে ঝটিকা মিছিল বের হয়। এ সময় অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, বৈঠক থেকে পালানোর সময় পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছোড়ার পাশাপাশি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে জামাত কর্মীরা। এ সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়। পরে অভিযান চালিয়ে জামায়াতের সাত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটায় ঝটিকা মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঘা পৌর জামায়াতের আমির অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি ঝটিকা মিছিল বের হয়। এ সময় বাঘা পৌরসভার মোড় থেকে বাঘা বাজারের দিকে আসছিল মিছিলটি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
এতে বাঘা থানার এএসআই আবদুর রহিম, মন্টু মিয়া, কনস্টেবল আহাদ আলী, হারুনুর রশিদ, প্রদীপ কুমার আহত হন। আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে ঝটিকা মিছিল থেকে সাত জনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, আড়পাড়া গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে রাজিব হোসেন (৩০), হাবাসপুর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৫), খায়েরহাট গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান (৪১), ঢাকাচন্দ্রগাথী গামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে সেকেন্দার আলী (৬০), জোতরাঘব গ্রামের রফিজ উদ্দিনের ছেলে খোসবুর রহমান (৩৮), জোতনশী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল মান্নাফ (৩০), চন্ডিপুর গ্রামের মাজদার রহমানের ছেলে নাসির উদ্দিন (৪৮)।
এ বিষয়ে বাঘা পৌর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মদের লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে মাজার এলাকায় একটি মিছিল বের করি। এ সময় পুলিশ আমাদের ধাওয়া করে সাত জনকে আটক করেছে।’
বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘জামায়াতের ঝটিকা মিছিলের খবর পেয়ে আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে তাদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেছি।’
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘জামায়াত ইসলামী নাশকতা করতে মাজার এলাকায় জমায়েত হয়ে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে তারা ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
‘এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আদালতে পাঠানো হয়েছে’, বলেন ওসি সাজ্জাদ হোসেন।
মন্তব্য