-->
শিরোনাম

মাইক্রোবাস চালককে গলাকেটে হত্যা: তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
মাইক্রোবাস চালককে গলাকেটে হত্যা: তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

জয়পুরহাটে মাইক্রোবাসের চালক রহিম বাদশাকে (৩০) গলাকেটে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এক নারীসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নূর ইসলাম।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার শালগ্রাম নিথিরা গ্রামের সেলিম হোসেন (৩২), নিহত রহিম বাদশার স্ত্রী আকলিমা (২৬) ও একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আইনুল ইসলাম (৩২)।

সেলিম ও আইনুল রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আরেক আসামি আকলিমা জামিন নিয়ে পলাতক আছেন।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার দেওগ্রাম ডুগডুগি গ্রামের রহিম বাদশা পেশায় একজন মাইক্রোবাস চালক। ২০১৬ সালের ১০ জুলাই সকাল ৯টায় ভাড়ার উদ্দেশে মাইক্রোবাস নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন রহিম।

পরদিন ১১ জুলাই ভোরে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি-ঘোড়াঘাট সড়কের দু”সীমানা নামক স্থানে মাইক্রোবাসের সিটে রহিমের গলাকাটা লাশের খবর পেয়ে উদ্ধার করে পাঁচবিবি থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় রহিমের বাবা শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে ১১ জুলাই দুপুরে পাঁচবিবি থানায় অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার সূত্র ধরে সেলিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে জিজ্ঞাসায় বেরিয়ে আসে হত্যার রহস্য। তার দেয়া তথ্যে গ্রেপ্তার করা হয় রহিমের স্ত্রী আকলিমা বেগম ও আইনুলকে।

তারা তিনজনই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা জানান, সেলিমের সঙ্গে রহিমের স্ত্রী আকলিমার পরকীয়া এবং আইনুলের স্ত্রীর সঙ্গে রহিমের প্রেমের সম্পর্কের কারণে পরিকল্পিত যোগসাজশে রহিমকে হত্যা করা হয়।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচবিবি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কিরণ চন্দ্র রায় মামলাটি তদন্ত করে এই তিনজনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল। রায়ের পর আসামিদের পুলিশ পাহারায় জয়পুরহাট কারাগারে নেওয়া হয়।

মন্তব্য

Beta version