-->
শিরোনাম

পদ্মায় বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
পদ্মায় বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার
বাঁশ পুঁতে বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে

মৎস্য আইনকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে পদ্মা নদীর মাঝখানে বাঁশের বেড়া দিয়ে অবাধে চলছে মাছ শিকার। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের দেবগ্রাম এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র নদীর মাঝে আড়াআড়িভাবে বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করছে।

তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, পদ্মা নদীতে মাছ শিকারের জন্য অবৈধভাবে বাঁশের বাঁধ অপসারণের জন্য তারা তৎপর রয়েছে।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মা নদীর তীর থেকে আড়াআড়িভাবে নদীর প্রায় ৬শ মিটার পর্যন্ত বাঁশ পুঁতে বেড়া দেওয়া হয়েছে। বেড়ার সঙ্গে সুতি জাল, কাঁথা জালসহ বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। বাঁশের বেড়ার কিছুদূর পরপর রয়েছে একটি করে মুখ।

নদীর স্রোতের সঙ্গে আসা মাছগুলো সেখানে গিয়েই আটকা পড়ছে। এর মধ্যে বেশি ধরা পড়ে চিংড়ি, পাঙাশ, বেলে, রুই, কাতলা, পুঁটি, ট্যাংরা, মৃগেল। বাঁশের বেড়ার কারণে নৌযান চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে জানান, এক মাসের বেশি সময় ধরে এখানে বেড়া দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। যারা বাঁশের বেড়া দিচ্ছে তারা প্রভাবশালী। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার ক্ষমতা গরিব জেলেদের নেই। বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করার কারণে গরিব জেলেরা নদীতে তেমন মাছ পান না। প্রশাসনের উচিত নদী থেকে বাঁশের বেড়া উঠিয়ে দেওয়া।

স্থানীয় খায়রুল খান নামে এক জেলে জানান, ১০ বছর আগেও নদীতে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। এখন নদীতে তেমন মাছ পাওয়া যায় না। মাছ না পাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে চায়না দুয়ারী, কারেন্ট জালের ব্যবহার বেড়েছে। এই জাল ব্যবহারের ফলে মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে।

রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, নদীর মাঝখানে স্থায়ীভাবে কোনো বেড়া বা বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা যাবে না। পদ্মা নদীতে মাছ শিকারের জন্য অবৈধভাবে বাঁশের বাঁধ অপসারণের জন্য তারা কাজ করছে। গত কয়েকদিনে সদর উপজেলার উড়াকান্দা ও গোয়ালন্দ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

Beta version