-->
শিরোনাম

হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে আম-লিচুর ব্যাপক ক্ষতি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে আম-লিচুর ব্যাপক ক্ষতি
শিলাবৃষ্টির কারণে ফল ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ঠাকুরগাঁওয়ের বেশ কিছু অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টির ফলে আম-লিচুর মুকুল ঝরে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জেলা সদরের রুহিয়া, ভুল্লি, ঢোলারহাট, রায়পুরসহ বেশকয়েকটি স্থানে তুমুল বেগে দমকা হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই এলাকার ৮০ শতাংশ মানুষ ফল ব্যবসায়ী। লিচু ও আমই তাদের ভরসা। শিলাবৃষ্টির কারণে গ্রামের কয়েক হাজার একর জুড়ে লিচু ও আমের মুকুল ঝড়ে পড়েছে। গাছের পাতা ঝড়ে পড়ায় মনে হচ্ছে মাটিতে কেউ সবুজ গালিচা বিছিয়েছে।

এছাড়া গম, ভুট্টাসহ ফসলের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কৃষকেরা। শিলাবৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কবলে ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক চলাফেরা। এলাকাজুড়ে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। অনেকের টিন শিলাবৃষ্টির কারণে ফেটে তছনছ হয়েছে।

স্থানীয় শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘এ কেমন শিলা বৃষ্টি! আমার জন্মে আমি ঠাকুরগাঁওয়ে এমন শিলাবৃষ্টি দেখিনি। আমার বাড়ির সামনে বরফ জমেছে এক হাঁটু। এই গ্রামের মানুষ লিচু ও আমের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু, শিলাবৃষ্টি মানুষগুলোকে পথে বসিয়ে দিল।’

লিচু ব্যবসায়ী আইনুল হক বলেন, ‘শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া আমার ছয়শ লিচু গাছের মুকুল ও পাতা ঝড়িছে। এতে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। বাগান মালিককে টাকাও দিয়েছি। আমার কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমি ঋণগ্রস্ত।’

ব্যবসায়ী মিলন বলেন, ‘মুকুল ভরা গাছে এখন আকাশ দেখা যাচ্ছে। সব ঝড়ে গেছে শিলাবৃষ্টিতে। আমাদের পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’

স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘হামার সব স্বপ্ন ঝড়ে পড়ছে বাপু। হামার আর কিছুই নাই। এমন পাথর বৃষ্টি আসমান থেকে এই প্রথম পড়িল।’

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপপরিচালক আবু হোসেন বলেন, ‘জেলায় বিভিন্ন স্থানে শিলা বৃষ্টি হয়েছে। এতে করে আমের মুকুল, ভুট্টা, গমসহ অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফসলের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার জন্য ইউপি কৃষি অফিসারকে খোঁজ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

মন্তব্য

Beta version