-->
শিরোনাম

কুমিল্লার নাজিউর শোনালেন ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ড পালানোর কাহিনি

মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা
কুমিল্লার নাজিউর শোনালেন ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ড পালানোর কাহিনি
মোহাম্মাদ নাজিউর রহমান

মোহাম্মাদ নাজিউর রহমান। কুমিল্লা নেউরা ডুলিপাড়া এলাকার বাসিন্দা তিনি। বছর দেড়েক আগে পাড়ি জমান ইউক্রেনে। তার কর্মস্থল ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে।

মোবাইল ফোনের ভিডিও কলে নাজিউর জানান, গত পরশু রাতে হঠাৎ বোমাবর্ষণ শুরু হয়। কোথা থেকে এই বোমাবর্ষণ করা হয় তা বুঝতে পারেননি তিনি। শুধু মোবাইল ফোন ও চার্জার নিয়ে বের হয়েছিলেন তিনি।

নাজিউর জানান, গত তিন দিন তার অফিস ও অ্যাপার্টম্যান্টে বোমাবর্ষণ হয়। প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে একটি বাংকারে আশ্রয় নেন। সেখানে তার সঙ্গে আশ্রয় নেন শিশু-বৃদ্ধসহ অন্তত ৫০ জন।

গত তিন দিনে খেয়ে না খেয়ে অপেক্ষা করছিলেন কীভাবে সীমান্তে যাওয়া যায়। এমন চিন্তা করে কয়েকবার বাংকার থেকে বের হয়ে ব্যর্থ হন। এর মধ্যে খবর পান তার ভারতীয় মেডিকেল পড়ুয়া দুই বন্ধু বোমায় মারা গেছেন।

নাজিউর আরো জানান, এ কয়েক দিন কিয়েভে তেমন সম্মুখযুদ্ধ হয়নি। বেশিরভাগ সময় দূর থেকে বড় বড় স্থাপনা লক্ষ করে বোমা হামলা হয়েছে।

গতকাল শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে তিনি একটি ট্রেনে করে ৫০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ইউক্রেনের সীমান্তে আসতে সক্ষম হন। তারপর সেখান থেকে সীমান্ত পার হয়ে পোল্যান্ডের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

নাজিউর জানান, বয়স্ক চারজন লোক তার সেই ট্রেনে উঠতে পারেননি।

নাজিউরের বন্ধু কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য গবেষণা উপকমিটির সদস্য ফুয়াদ আদনান বিন জামাল বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে নাজিউরের সঙ্গে কথা হচ্ছে। তাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায়ও কথা হয়েছে। নাজিউর সুস্থ ও নিরাপদ আছে।’

কিয়েভে ভোরের আলো ফোটার আগেই অনেক পাড়ি জমান পোল্যান্ড সীমান্তের দিকে। ছবি: আলজাজিরা

নাজিউরের আরেক বন্ধু তানভীর দিপু জানান, নাজিউরের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখন সে শরণার্থী শিবিরে আছে। ভালো আছে। তার মা ও বোন লন্ডনে আছে।

মন্তব্য

Beta version