-->
কক্সবাজারে ব্রিটিশ হাইকমিশনার

‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে’

কক্সবাজার প্রতিনিধি
‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে’

কক্সবাজারের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার হাত আরো প্রসারিত হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন। গতকাল রোববার জলবায়ু উদ্বাস্তু প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কক্সবাজার পৌরসভার চলমান বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় শহরের ১নং ওয়ার্ডের সমিতি পাড়া এলাকায় নবনির্মিত সাতটি রাস্তা ঘুরে দেখেন তিনি।

এর আগে ইউএনডিপি’র সিডিসি প্রকল্পের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন বৃটিশ হাইকমিশনার।

দরিদ্র মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সমস্যা সমাধানে যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশ সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বৃটিশ হাইকমিশনার বলেন, ‘এসব প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষজনকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, পড়াশোনা, আত্মকর্মসংস্থান বিষয়ে সচেতন করতে পেরে আমরা আনন্দিত, যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।’

পাশাপাশি চলমান উন্নয়ন কাজ ছাড়াও বাংলাদেশের সঙ্গে আরো বড় ধরনের কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

একই সঙ্গে জলবায়ু সহনশীল অশাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন অনুদান কার্যক্রমে বাজেট বরাদ্দ আরো বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন মেয়র মুজিবুর রহমান। সঙ্গে টেকসই নগর উন্নয়নে এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধির মাধ্যমে এসডিজির কার্যকর রূপায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

বিশেষ করে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পৌরসভার দুর্যোগপ্রবণ সামুদ্রিক উপকূলীয় এলাকার মানুষদের সাবলম্বি করতে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা চান মেয়র মুজিব। এর আগে সমুদ্র সৈকত ও উপকূল লাগোয়া জলবায়ু উদ্বাস্তু এলাকা ঘুরে দেখেন এবং রাস্তা উদ্বোধন শেষে বৃক্ষরোপণ করেন হাইকমিশনার।

সভায় ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের যুগ্ম সচিব ও জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মো. মাসুম পাটওয়ারী, এফসিডিও’র ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট এডভাইজার জন ওয়ার্বার্টনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

Beta version