-->
শিরোনাম

‘নৌকার আদলে হবে আন্তার্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স’

কক্সবাজার প্রতিনিধি
‘নৌকার আদলে হবে আন্তার্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স’

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের ঐতিহ্য নৌকার আদলে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।

গতকাল রোববার বিকেলে কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলের বলরুমে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহরে পরিপূর্ণ আধুনিক ক্রীড়া কমপ্লেক্সে রূপ নিচ্ছে কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। শিগগিরই এটি নাম পাল্টে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স নামে হতে যাচ্ছে। যেখানে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে ফুটবল এবং হকি স্টেডিয়াম।’ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে হতে যাওয়া এ ক্রীড়া কমপ্লেক্সে থাকবে ক্রিকেট, ফুটবল ও হকির স্টেডিয়াম।’ এছাড়া আলাদা প্র্যাক্টিস গ্রাউন্ড, গাড়ি পার্কিংসহ নানা সুযোগ-সুবিধা থাকার কথাও জানান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।

জানা যায়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের তীর ঘেঁষে ২০১৩ সালে পর্যটন গলফ মাঠে নির্মাণ কাজ শুরু হয় কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও ক্রিকেট কমপ্লেক্সের। প্রায় ৪৯ একর জমিতে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

প্রাথমিকভাবে মাত্র ৭ হাজার ৮০০ দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ছিল স্টেডিয়ামটি। যেখানে অনুষ্ঠিত হয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ১৯টি ম্যাচ, নারীদের দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ। এছাড়াও চলে এনসিএল ও বিসিএল’র ম্যাচ। কিন্তু নানা অব্যবস্থাপনায় বর্তমানে বেহাল দশা এই স্টেডিয়ামের। রয়েছে অবকাঠামোগত সমস্যাসহ মূল মাঠের পানি জমে থাকার সমস্যা।

পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকা স্বত্ত্বেও দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো পূর্ণাঙ্গ হয়নি শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি। যার কারণে আন্তর্জাতিক টুর্ণামেন্টের খেলা দেখতে বঞ্চিত হচ্ছে কক্সবাজারবাসী। তাই দ্রুত একটি পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়াম নির্মাণের দাবি জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও কক্সবাজারবাসীর।

কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে যে স্টেডিয়ামের কথা এখানে বলা হচ্ছে, সেটি মাত্র ১৫ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার।সামান্য বলিখেলা হলেও এখানে জায়গা দেয়া কঠিন।’ তাই স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতাটাও আন্তর্জাতিকমানের করার আহ্বান জানান তিনি।

প্রেস ব্রিফিংয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

Beta version