-->
শিরোনাম

কুকুর আতঙ্গে মাঠে ছাগল চরাতে ভয়!

বিজন দাস, দিনাজপুর
কুকুর আতঙ্গে মাঠে ছাগল চরাতে ভয়!
কুকুরের কামড়ে ছাগলের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে গেছে

‘আমরা গরিব মানুষ। আমার স্বামী কৃষিকাজ করে। সারা বছরই দুই-একটা গরু, ছাগল পালন করে বাড়তি উপার্জনের চেষ্টা করি। সর্বশেষ আমার দুইটা ছাগল ছিল। এর মধ্যে একটা ছাগল কুকুরের কামড়ে মারা গেছে। এখন না পারি এই কষ্ট সহ্য করতে, না পারি কারো কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে।’

গত রোববার ভোরের আকাশের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন দিনাজপুর সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের দিঘন উত্তরপাড়া এলাকার জিতেন সিংয়ের স্ত্রী দুলালি বালা।

জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ আগে চার থেকে পাঁচটি কুকুর দুলালি বালার একটি ছাগলকে কামড় দিয়ে পেটের নাড়িভুঁড়ি বের করে দিয়েছে। পরে ছাগলটি মারা যায়। বর্তমানে কুকুরের আতঙ্কে অন্য ছাগলটি বাবার বাড়িতে রেখে এসেছেন দুলালি বালা।

শুধু দুলালি বালাই নন, ওই এলাকার প্রায় ৫০টি পরিবার এখন কুকুরের আতঙ্কে মাঠে ছাগল চরায় না। আর চরালেও পাহারাদার হিসেবে একজন মাঠে থাকেন।

দুলালি বালার সঙ্গে আলাপের একপর্যায়ে পাশের বাড়ি থেকে আসেন আলতা বালা নামে এক বৃদ্ধা। তার একটি ছাগলকেও কামড় দিয়ে মেরে ফেলেছে কুকুর।

আলতা বালা ভোরের আকাশকে বলেন, ‘কুকুরের কামড়ে আমার একটা ছাগল মারা গেছে। এখন আর দুইটা ছাগল আছে। এগুলোকে এখন মাঠে বসে থেকে ঘাস খাওয়াতে হয়। আগে মাঠে নিয়ে গেলে বেঁধে রেখে চলে আসতাম। কিন্তু এটা তো কোনো সমাধান না। কারণ আমাদের এতো সময় কোথায়? ঘরে-বাইরে সব সময়ই আমাদের কাজ করতে হয়।’

একই এলাকার দুলাল হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে মাঠে আমার একটি ছাগল বাঁধা ছিল। তবে কুকুরের কামড়ে ছাগলটা মারা গেছে। এক প্রকার বাধ্য হয়েই আমরা গ্রামের মানুষ দুই একটা গরু-ছাগল পুষি। টাকার দরকার হলে তখন তা বিক্রি করি। এখন কুকুরের আতঙ্কে বাকি ছাগলগুলো বাড়িতেই থাকে। এর একটা সমাধান হলে খুব ভালো হতো।’

এ বিষয়ে দিঘন চার নং ওয়ার্ড মেম্বার নূর আলম বলেন, ‘আমাকে এ বিষয়টি এখনো কেউ জানায়নি। আমি বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।’

মন্তব্য

Beta version