-->
শিরোনাম

আগুনে একই পরিবারের পাঁচজন নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

মো. জুয়েল রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আগুনে একই পরিবারের পাঁচজন নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আগুনে পুড়ে একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ মার্চ) সহকারী কমিশনার ভূমি আশরাফুল ইসলামকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরবিন্দু বিশ্বাস।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সহকারী কমিশনার ভূমি আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মিজানুর রহমানকে সদস্য সচিব ও সদস্য আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত), বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন প্রতিনিধি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিনিধি দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়েছে।‘ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার এবং পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত হিসেবে পুরাতন ভবনে ইলেকট্রিক কারণে আগুন ধরতে পারে ধারণা করা হয়েছিল। পরে স্থানীয় ও আহত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্যাস লাইনের সমস্যার কারণে আগুন লাগার ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা এ ব্যাপারে তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট জমা দিব।

এদিকে মর্মান্তিক এই ঘটনায় উপজেলার শরিফপুরে নিহত মকবুল হোসেনের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। প্রিয়জনদের হারিয়ে কোনো ধরনের সান্ত্বনা যেন খুঁজে পাচ্ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। তারা এ ঘটনা তদন্ত করে দোষিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা ইউনিয়নের শরীয়তনগর গ্রামে গত ২২ ফেব্রুয়ারি একটি পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে। এতে দগ্ধ হন মকবুল হোসেন, তার স্ত্রী রেখা বেগম এবং তাদের দুই ছেলে ১১ বছর বয়সী আরিফ হোসেন ও ৭ বছর বয়সী জোবায়ের হোসেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জোবায়েরের।

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ ফেব্রুয়ারি মকবুল ও ২৭ ফেব্রুয়ারি জোবায়েরের মৃত্যু হয়।

শরীফ হোসেন জানান, রেখা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। আগুনে তার গর্ভের সন্তানও নষ্ট হয়ে যায়। সোমবার রাতে তারও মৃত্যু হয়েছে।

এ বিষয়ে মকবুলের ভাই শামীম আহম্মেদ বলেন, আমার ছোট ভাই বাড়ির মালিককে গ্যাসের সমস্যা কথা জানানোর পরও তারা ঠিক করে নাই। তাদের গাফিলতির জন্য এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চাই।

আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সি বলেন, ‘আগুনে পুড়ে যে পাঁচজন মারা যাওয়ার ব্যাপারটি ন্যাক্কারজনক। ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগুন কেন লেগেছে, কার ভুল আছে সেটা তদন্তের প্রয়োজন।’ সেইসঙ্গে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে সহায়তার আশ্বাস দেন।

মন্তব্য

Beta version