পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে নীতিগত অনুমোদন দেওয়ায় খুশির জোয়ারে ভাসছে নওগাঁবাসী। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। জেলাবাসী মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলে উচ্চশিক্ষিতের হার বাড়বে। সেই সঙ্গে হবে আর্থসামাজিক উন্নয়ন।
গত সোমবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যায় প্রতিষ্ঠায় ‘বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নওগাঁ আইন, ২০২২’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয় মন্ত্রিসভায়। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নওগাঁ ও ঠাকুরগাঁওয়ে পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সরকারপ্রধানের প্রতিশ্রুতির আলোকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে আইন করা হচ্ছে। নতুন দুই বিশ্ববিদ্যালয় আইন অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আইনের আদলে করা হচ্ছে।
নওগাঁ জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া পর উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে জেলাজুড়ে। শিক্ষার আলোয় আলোকিত হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন স্থানীয় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, নওগাঁতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, এজন্য শিক্ষার্থীরাসহ সব মহলই খুশি। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় হলে বাড়িতে থেকে তারা পড়াশোনা করতে পারবেন। এতে তাদের বাবা-মায়ের আর্থিক সংকটও দূর হবে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা পেলে শিক্ষার সঙ্গে এই অঞ্চলের অর্থনীতির ব্যাপক উন্নতি হবে। কারণ নতুন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এছাড়া প্রসার ঘটবে ব্যবসা-বাণিজ্যের।স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক এ বি এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় নীতিগত অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী এ জেলার সার্বিক উন্নয়ন ও শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবি। সরকার প্রধানকে অনুরোধ, যেন এই উদ্যোগটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়।’
নওগাঁর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি এম আবদুল বারি বলেন, ‘নওগাঁতে দীর্ঘদিনের দাবি ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার। আজ তা বাস্তবানের পথে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণের ক্ষেত্রে যেন গুরুত্ব দিয়ে সবার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়। জেলার রাজনৈতিক, সামাজিকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থান নির্বাচন করা হয় এমনটাই আশা করছি।’
মন্তব্য