কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘বিএনপি ২০১৪ সালের মতো দেশে আবার অরাজকতা ও অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে। তারা মনে করছে, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে, বোমাবাজি করে, রেললাইন তুলে, গাড়িতে আগুন দিয়ে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে আবারো ক্ষমতায় আসবে। আমি মনে করি, দেশের জনগণ কোনোভাবেই তাদের এই অপচেষ্টা মেনে নেবে না।’
শনিবার বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলনে হাওয়া দিতে পারছে না, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। ২০১৫ সাল থেকে তারা একদিনও হরতাল দিতে পারেনি। বাংলাদেশে আর কোনোদিন হরতাল হবে না। আন্দোলনের নামে গাড়িতে আগুন দিলে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে। ন্যায়ের পথে, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে তাদের আন্দোলন করতে হবে। শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে বর্তমান নির্বাচিত সরকার জনগণের জানমাল রক্ষায় কঠোর ভূমিকা পালন করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি সব সময়ই বাঁকা পথে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় এসেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কখনো বাঁকা পথে জনগণের সমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় আসেনি। কাজেই আগামী দিনে বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র করে কাউকে নির্বাচন বানচাল করতে দেওয়া হবে না।’
নির্ববাচনের কথা টেনে তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে। জনগণের সমর্থনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। জনগণ তাদের নির্বাচিত করলে আমরা ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে তাদের স্বাগত জানাব। জনগণ, সুশীল সমাজ, আন্তর্জাতিক বিশ্বের চাপ এবং বিএনপি যখন বুঝতে পারবে তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই তখন তারা অবশ্যই নির্বাচনে আসবে।’
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘মোটা চালের দাম স্থিতিশীল আছে, সরু চালের দাম এখনো কিছুটা বেশি। আর ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক বেড়েছে। ভোজ্যতেল আমাদের আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়। এ অবস্থায় তেলের দাম কিছুটা না বাড়ালে কেউ আমদানি করবে বলে মনে হয় না। তবে সরকার কঠোরভাবে বাজার মনিটর করছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভোজ্যতেল আনার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব রয়েছে।’
দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য