-->
শিরোনাম

আজাহার আলীর ‘কৃষি ছাদ’

প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
আজাহার আলীর ‘কৃষি ছাদ’
আজাহার আলী

আজাহার আলী। পেশায় কলেজের গ্রন্থাগারিক। তার স্ত্রী একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। এক ছেলে-মেয়েকে নিয়ে তার ছোট সংসার। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌর এলাকার সুজাপুরে তাদের বসবাস।

তিনি প্রায় দুই বছর পূর্বে তার বাড়ির ছাদে সখের বসে গড়ে তুলেছেন বাহারি ফলের কৃষি বাগান। নাম দেন ‘কৃষি ছাদ’। সেখানে শোভা পাচ্ছে কমলা, মাল্টা, আম, কামরাঙ্গা, আঙ্গুর, আমড়া, লেবু, টমেটোসহ নানা ফলফালাদির গাছ।

প্রথম দিকে মাল্টা, কমলা ও আমের চারা দিয়ে বাগান শুরু করেন তিনি। বছর শেষেই বাগান থেকে মাল্টা পান। পর্যায়ক্রমে তিনি কামরাঙা, ডালিম, সফেদা, লেবু, জলপাই, পেয়ারা, বরই, আমড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ রোপণ করেন। প্রথমে মাল্টা ও আম উৎপন্ন হলেও এ বছর ওই ছাদ বাগান থেকে কমলা ও লেবু পেতে শুরু করেছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, ছাদের ওপরে সারিবদ্ধভাবে বড় টবে মাটি ভরাট করা। প্রতিটি টপে একটি করে ফলদ গাছ। গাছে ফল ধরেছে। মাল্টা গাছে এবারও ফুল এসেছে। এর পাশাপাশি রয়েছে টমেট, আঙ্গুর, জামরুল, জলপাই, কদবেল ও তেতুল গাছ।

আজাহার আলী বলেন, ‘বাড়ি করার পর ছাদে বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর পালন শুরু করেছিলেন। কিন্তু কবুতরগুলোর কারণে ঘরবাড়ির বিভিন্ন অংশ নোংরা হওয়ায় কবুতর পালন বন্ধ করে দেই। পরে ওই ছাদে পাঁচ-ছয়টি ফলের গাছ লাগাই।

‘এরপর থেকেই বাগান গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করি। যতই দিন যায় ততই বাগানে গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে। এখন সেটি একটি পূর্ণাঙ্গ ফলদ বাগানে পরিণত হয়েছে। অবসর সময় বাগানে সময় কাটেই।’

উপজেলা কৃষি অফিসার রুম্মান আক্তার বলেন, ‘আজাহার আলীর ছাদ কৃষি সম্পর্কে শুনেছি। তার মতো শহরে অন্যরা তাদের ছাদে স্বল্প পরিসরে ফল ও সবজি উৎপাদন করে প্রতিদিনই বিষমুক্ত ফল-সবজি খেতে পারবে। এতে নিজেদের চাহিদা মিটানো সম্ভব। এছাড়া ছাদ কৃষিতে কোনো ধরনের সহযোগিতা লাগলে আমরা প্রদান করব। মানুষ ছাদ কৃষিতে এগিয়ে এলে কৃষি সম্প্রসারিত হবে।’

 

 

মন্তব্য

Beta version