ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে মৌলভীবাজারে অনুষ্ঠিত হলো জয় বাংলা ঘুড়ি উৎসবের। সোমবার বিকেলে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
এই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, পৌরমেয়র ফজলুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা রহমানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের সহযোগিতায় এই বর্ণিল ঘুড়ি উৎসবে মেতে উঠেন শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সের মানুষ।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর লোগসহ নানা রঙের নানা নামের ঘুড়ি উড়ে নীল আকাশে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুড়ি উড়ানোর এই দৃশ্য দেখতে এসে সবাই আনন্দে মেতে ওঠেন।
ঘুড়ি তৈরিতে রয়েছে শৈল্পিক নিদর্শন। নানা রঙের কাগজ, পলিব্যাগ ও বাঁশের অংশবিশেষ দিয়ে তৈরি হয় এসব ঘুড়ি। সঙ্গে ছিল বাহারি রঙের নাটাই, এ ছাড়া নাটাই ও ঘুড়িতে সংযোগ করা হয় বাহারি রঙের সুতো।
বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের সদস্য মো. বাবর বলেন, 'প্রায় ১৫০ ধরনের ঘুড়ি নিয়ে আমরা এখানে এসেছি। ঘুড়ির আকার অনুযায়ী পর্যাপ্ত বাতাস না থাকায় অনেক ঘুড়ি উড়ানো সম্ভব হয়নি।'
একসঙ্গে এত রঙ-বেরঙের ঘুড়ি উড়তে আগে কখনও দেখেননি জানান, ঘুড়ি উড়ানো দেখতে আসা শিক্ষার্থী মিথ, জিৎ ও পূর্ণম। প্রতিবছর এরকম আয়োজন করলে এমন উৎসবে এসে আনন্দ করতে পারবেন তারা।
উৎসবে অংশগ্রহণকারী মনি আক্তার বলেন, 'ছোটবেলা গ্রামে একসঙ্গে অনেক ঘুড়ি উড়াতে দেখেছি। দীর্ঘদিন পর আজ একসঙ্গে অনেক ঘুড়ি দেখেছি, আমি নিজেও উড়িয়েছি।'
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে ভিন্ন ধরনের কিছু করার তাগিদ থেকে এ ঘুড়ি উৎসব। একদিনের জন্য হলেও শিশু কিশোরসহ সবাই একটা রঙিন উৎসবের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছেন, এটাই আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো। আগামিতে এ ধরনের উৎসব আরও করা হবে।’
মন্তব্য