-->
শিরোনাম

কবর প্রস্তুত, হাদিসুরের মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনরা

এস আই স্বপ্ন, বরগুনা
কবর প্রস্তুত, হাদিসুরের মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনরা
হাদিসুরের মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনরা

নৌ প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান ঠিকই বাড়ি ফিরছেন, তবে লাশ হয়ে। তাই তার ফিরে আসা নিয়ে বরগুনায় গ্রামের বাড়িতে নেই কোনো আনন্দ, উন্মাদনা। যে বাড়িতে হাদিসুরের বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা এখন সেখানে চলছে তার মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি। হাদিসুরের বাবা-মা, ভাই-বোনের মধ্যে যে দীর্ঘশ্বাস তৈরি হয়েছে, তাতে বেতাগীর আকাশ-বাতাসও যেন গুমোট হয়ে পড়েছে।

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে হামলার কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধির তৃতীয় প্রকৌশলী হাদিসুর রহমানের মরদেহ দেশে এসেছে। নিহত হওয়ার ১১ দিন পর আজ সোমবার দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে তার মরদেহ বহনকারী টার্কিশ এয়ারলাইনসের টিকে-৭২২ ফ্লাইট ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।

হাদিসুরের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে। তিনি ওই এলাকায় নাদেরিয়া মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। চার ভাইবোনের মধ্যে হাদিসুর মেঝ। সোমবার হাদিসুরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পারিবারিক কবরস্থানে ইতোমধ্যেই কবরের নমুনা করে রাখা হয়েছে। তাকে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে এসেছেন গ্রাম ও আশপাশের লোকজন। এছাড়া তার বাড়ির উঠোনে টাঙানো হয়েছে সামিয়ানা, আগত লোকজনকে বসতে দিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে চেয়ার।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০ টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাদা-দাদীর কবরের পাশে হাদিসুরকে দাফন করা হবে বলে জানান তার চাচা ও বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান।

হাদিসুরের চাচা বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘হাদিসুর ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুরের একটি জাহাজে নৌ প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে। ২০১৮ সাল ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে যোগদান করে হাসিদুর। শ্রীলঙ্কা থেকে গত ১২ ডিসেম্বর সে ইউক্রেনের উদ্দেশে গিয়েছিল।’

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। সেখানে নোঙর করা অবস্থায় গত ২ মার্চ জাহাজটি রকেট হামলার শিকার হয়। ওই হামলায় প্রাণ হারান জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান।

মন্তব্য

Beta version