-->

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি, ৪ লাশ উদ্ধার

বিল্লাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ
শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি, ৪ লাশ উদ্ধার
উদ্ধার অভিযানে একজন স্বজন আহাজারি করছেন

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জগামী এমএল আশরাফ উদ্দিন নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (২০ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার আল-আমিন নগর এলাকায় নির্মানাধিন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর কাছাকাছি এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বিয়ষটি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন পুরুষ ও তিন নারীর মরদেহ রয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত কত জন নিখোঁজ রয়েছেন সে সংখ্যা জানা যায় নি।’

ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে সাঁতরে তীরে উঠে কয়েকজন যাত্রী জানান, দুপুর ১টা ৫৮ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রায় অর্ধশত যাত্রী নিয়ে মাঝারি আকারের লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। লঞ্চটি সদর উপজেলার সৈয়দপুর কয়লাঘাট এলাকায় পৌঁছলে পেছন থেকে এমভি রূপসী নামে বড় আকারের একটি পণ্যবাহী কার্গো পর পর কয়েকবার ধাক্কা দিলে লঞ্চটি নদীর মাঝখানে ডুবে যায়।

এ সময় দশ থেকে বারোজন যাত্রী নদীতে লাফিয়ে বেঁচে গেলেও অধিকাংশ যাত্রী নিখোঁজ হন। তাদের সন্ধানে নদীর দুই তীরে স্বজনরা এসে আহাজারি করতে থাকেন। কয়েক হাজার নারী পুরুষ এখনও নদীর দুই তীরে অবস্থান করছেন।

এদিকে লঞ্চডুবির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।

নারায়ণগঞ্জ নৌ-থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। শনাক্তের চেষ্টাসহ নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।’

লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কতজন নিখোঁজ রয়েছেন সেই সংখ্যা জানাতে পারেননি ওসি মনিরুজ্জামান।

এদিকে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার বলেন, ‘ডুবুরিদের একটি দল উদ্ধারের কাজ করছে। হেডকোয়ার্টার এবং বন্দর থেকে আরও দুটি ইউনিট পাঠানো হচ্ছে।’

গত বছরের ৮ জুলাই শীতলক্ষ্যা নদীর একই স্থানে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ সাবিত আল হাসান ডুবি যায়। এতে নারী ও শিশুসহ ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।

মন্তব্য

Beta version