-->
শিরোনাম

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: ৫ মরদেহ উদ্ধার, জাহাজ জব্দ

বিল্লাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ
শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: ৫ মরদেহ উদ্ধার, জাহাজ জব্দ
চলছে উদ্ধার অভিযান

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২০ মার্চ) বিকেল ৬টায় এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এর আগে চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। যদিও কারো পরিচয় জানা যায়নি।

নারায়ণগঞ্জ নৌ-থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে যে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় এমএল আশরাফ উদ্দিন লঞ্চটি ডুবেছিল সেই মালবাহী জাহাজ রূপসী-৯ জব্দ করেছে পুলিশ। তবে এর চালক ও সুকানিদের আটক করা সম্ভব হয়নি।

রোববার বিকেলে মেঘনা নদী থেকে কার্গো জাহাজটি জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন নৌ-থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজটি লঞ্চটিকে ডুবিয়ে দিয়ে মেঘনা নদীতে যায়। সেখানে একটি ডকইয়ার্ডে জাহাজটি রেখে এর চালক ও সুকানিরা পালিয়ে গেছেন।’

আরো পড়ুন: শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি, ৪ লাশ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জ লঞ্চমালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বলেন, ‘লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জের সেন্ট্রাল খেয়াঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল। সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন রূপসী-৯ কার্গো জাহাজ একে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়।

‘এর আগেও শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চ ডুবে প্রাণহানি হয়েছে। নৌপুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা ঠিকমতো তদারকি না করায় শীতলক্ষ্যা অনিরাপদ হয়ে উঠেছে।’

ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে সাঁতরে তীরে উঠে কয়েকজন যাত্রী জানান, দুপুর ১টা ৫৮ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রায় অর্ধশত যাত্রী নিয়ে মাঝারি আকারের লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। লঞ্চটি সদর উপজেলার সৈয়দপুর কয়লাঘাট এলাকায় পৌঁছলে পেছন থেকে এমভি রূপসী নামে বড় আকারের একটি পণ্যবাহী কার্গো পর পর কয়েকবার ধাক্কা দিলে লঞ্চটি নদীর মাঝখানে ডুবে যায়।

এ সময় দশ থেকে বারোজন যাত্রী নদীতে লাফিয়ে বেঁচে গেলেও অধিকাংশ যাত্রী নিখোঁজ হন। তাদের সন্ধানে নদীর দুই তীরে স্বজনরা এসে আহাজারি করতে থাকেন। কয়েক হাজার নারী পুরুষ এখনও নদীর দুই তীরে অবস্থান করছেন।

মন্তব্য

Beta version