কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের আলোচিত মুকুল হত্যা মামলায় তিন আসামির আমৃত্যু এবং সাত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাত আসামির উপস্থিতিতে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক তাজুল ইসলাম সোমবার দুপুরে এ রায় দেন।
আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্তরা হলেন-উপজেলার শালিমপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে ওয়াসিম রেজা, একই গ্রামের মৃত নুরু বিশ্বাসের ছেলে হোসেল রানা ও ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুর কাটদাহ গ্রামের আলী জোয়ার্দ্দারের ছেলে মানিক জোয়ার্দ্দার।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- দৌলতপুরের শালিমপুর গ্রামের নুর বিশ্বাসের ছেলে ফারুক চেয়ারম্যান মিরপুর উপজেলার বালিদাপাড়া মশান গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে ইদ্রিস ওরফে মোটা জসিম, একই গ্রামের খন্দকার রবিউল ইসলামের ছেলে খন্দকার তৈমুল ইসলাম বিপুল, সদর উপজেলার মতিমিয়া রেলগেট চৌড়হাস এলাকার খন্দকার মোছাদ্দেক হোসেন মন্টুর ছেলে উল্লাস খন্দকার, উদিবাড়ী আমিরুল ইসলামের ছেলে মনির, পূর্ব মজমপুরের মৃত আব্দুল খালেক চৌধুরীর ছেলে বিপুল চৌধুরী, দৌলতপুরের পচা ভিটা গ্রামের মৃত মোজাহার মোল্লার ছেলে আবদুল মান্নান মোল্লা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল ঢাকা মহানগরীর মিরপুর এগ্রিকালচারাল ওয়ার্কশপ এন্ড ট্রেনিং স্কুলের মাকেটিং ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সুমী নামে এক মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। এ সুযোগকে কাজে লাগান সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা।
২০০৯ সালে ২৩ অক্টোবর বিকেলে মুকুলকে বিভিন্নভাবে প্রলোভিত করে অপহরণ করে দৌলতপুরের শালিমপুর গ্রামে নিয়ে আসেন আসামিরা। পরে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে মুক্তিপন দাবি করে তারা।
মুক্তিপনের টাকা পাওয়ার পরে ২৫ নভেম্বর আসামিরা মুকুলকে চর শালিমপুর হিসনা নদীর পাড়ে ফারুক চেয়ারম্যানের জমিতে হত্যা করে পুতে রাখে।
এ ঘটনায় ওই বছরের ২ ডিসেম্বর মুকুলের বড় ভাই ইলয়াচ কবির বকুল বাদি হয়ে ১৬ আসামিদের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৩১ মার্চে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে আরো তিনটি হত্যা মামলা বিচারাধীন বলেও আদালত সূত্রে জানা যায়।
মন্তব্য