-->
শিরোনাম

বীরকন্যা ফুলবানু পেলেন ঘর, ডিসি দেবেন গাভী

মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা
বীরকন্যা ফুলবানু পেলেন ঘর, ডিসি দেবেন গাভী
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের উপস্থিতিতে চেষ্টা’র নেত্রীবৃন্দ বীরকন্যা ফুলবানুর হাতের নতুন ঘরের স্মারক চাবি তুলে দিচ্ছেন। ছবি: মাহফুজ নান্টু

বীরকন্যা ফুল বানু। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছিলেন। সময়ের প্রয়োজনে হাতেও তুলে নিয়েছিলেন অস্ত্র।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণের বড়ধর্মপুর এলাকায় তার ভিটে মাটি। কোনো রকম খেয়ে পড়ে দিন কাটছে তার। ‘একটি ঘর পেলে কমে যেত তার কষ্ট’, এমন খবরে এগিয়ে এসেছে নারীদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘চেষ্টা’। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ফুলবানুর জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।

‘চেষ্টা’ সংগঠনটি গত দশ বছর ধরে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরকন্যাদের সমাজে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের বেঁচে থাকার নূন্যতম চাহিদা পূরণই মূলত এই সংগঠনের কাজ।

গত জানুয়ারি মাসে ‘চেষ্টা’র নেত্রীবৃন্দ কুমিল্লার বড়ধর্মপুরে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখতে পান- বীরকন্যা ফুলবানুর থাকার কোনো ঘর নেই। নিজের সামান্য জায়গায় চাটাইয়ের বেড়া দিয়ে কোনো রকমে দিন যাপন করছেন।

পরবর্তী সময়ে ‘চেষ্টা’ নিজস্ব অর্থায়নে ফুলবানুকে তার জমিতে দুই রুমের একটি বাড়ি তৈরি করে দেয়।

বুধবার (২৩ মার্চ) বেলা তিনটার দিকে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান উপস্থিত থেকে নতুন ঘরে চাবি ফুলবানুর হাতে তুলে দেন। ঘর পেয়ে কেঁদে ওঠেন ফুলবানু। চোখে ঝরে আনন্দের অশ্রু।

এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘ফুলবানুর যেন আর্থিক অসংগতি দূর হয় সে জন্য তাকে একটি গাভী কিনে দেওয়া হবে।’

সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশিস ঘোষ বলেন, ‘ফুলবানুকে একটি ঘর তৈরি করে দিতে ‘‘চেষ্টা’’ নেতৃবৃন্দ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমরা সার্বিক সহযোগিতা করেছি। একটি ভালো কাজের অংশীদার হতে পেরে আমাদের ভালো লাগছে।’

ঘর হস্তান্তরের পর অনুভূতি ব্যক্ত করে ‘চেষ্টা’র সভাপতি লায়লা নাজনীন হারুন বলেন, ‘আমরা গত দশ বছর ধরে কাজ করছি। প্রতিটি কাজ আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বীরকন্যা ফুলবানুর ঘর হস্তান্তর করতে পেরেছি- সত্যি খুব ভালো লাগছে।’

মন্তব্য

Beta version