শীতলক্ষ্যা নদীতে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ রুটে যাত্রী চলাচলের জন্য সি ট্রাক ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। শীতলক্ষ্যায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনার চার দিন পর এ নৌরুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল।
নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ‘এসটি শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত’ নামে সি ট্রাকটি বৃহস্পতিবার দুপুরে ৩০ যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিসি’র যুগ্ম পরিচালক মাসুদ কামাল জানান, যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে এ সেবা চালু করা হয়েছে। এটি পরীক্ষামূলক হলেও যাত্রী চাহিদা অনুসারে সংখ্যা ও রুট বাড়ানো হবে।
এসটি শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সি ট্রাকের প্রধান চালক নূর হোসেন সুমন বলেন, ‘২০০ যাত্রী ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন সি ট্রাকে মুন্সিগঞ্জ পৌঁছতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ পৌনে এক ঘণ্টা। এটা সমুদ্রেও চলাচলের উপযোগী বলে নিরাপত্তা ঝুঁকি কম।’
গত চারদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। নৌ পথে চলাচল করতে না পেরে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে সড়কপথে চলাচল করতে হয়েছে তাদের। সি ট্রাক চালু হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বলেন, ‘এই সি ট্রাক এক সপ্তাহের বেশি চলবে না। কারণ এর যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ২০০ জন। পুরো ট্রাক ভর্তি করতে ঘণ্টা দেড়েক টার্মিনালে বসে থাকতে হবে যাত্রীদের।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ রুটে সি-ট্রাক চলাচলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা কোনো বিশৃঙ্খলাও করবো না। তবে আমরা ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর থেকে মুন্সিগঞ্জ নৌপথে চলাচলরত লঞ্চগুলোর চলাচল স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানেরর কাছে লিখিত আবেদন করেছি।’
গত ২০ মার্চ দুপুরে সদর উপজেলার আলামিন নগর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে এমভি রূপসী-৯ নামে একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ‘এমএল আফসার উদ্দিন’ নামে যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে যায়। এতে প্রাণ হারান নারী ও শিশুসহ ১০ জন। এর পরেই মুন্সিগঞ্জ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিএ।
মন্তব্য